বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৮ অপরাহ্ন
রাব্বি হোসেন॥ মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙণে ঘরবাড়ি, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ও ফসলি জমিসহ পুরো এলাকারই বিস্তির্ণ অঞ্চল নদীর ভাঙনে তলিয়ে গেছে। হারিয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী বাজার, বাড়ি ও পূর্বপুরুষের কবর। দিন দিন বেড়েই চলেছে নদীর তীব্রতা। উপকূলে আঁচড়ে পড়া মেঘনার প্রতিটি ‘ঢেউ সর্বনাশ ঢেকে আনছে। ভাঙণের কবল থেকে রক্ষা পেতে বিক্ষোভ করেছেন ভাঙন কবলিত মেঘনা নদী তীরবর্তী হিজলা উপজেলার বাহেরচর গ্রামের ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দারা।
শনিবার ( ২৮ মার্চ ) সকাল আটার সময় মেঘনা নদী পাড়ে কোরবান এর রাস্তার মাথা নামক স্থানে বাহেরচর ইসলামিয়া ফজিল মাদ্রাসা ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে ‘ মেঘনার ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পওয়ার জন্য খতমে দোয়া ইউনুছ ( আঃ ) পাঠ ও দোয়া অনুষ্ঠান করা হয়। এসময় অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করা স্থানীয় কয়েক’শ বাসিন্দা নদীর পারে বিক্ষোভ করেন। তাদের দাবী স্থায়ী বাঁধ দিয়ে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হলে সরকারি-বেসরকারি কয়েক শতক স্থাপনা ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
এর মধ্যে উল্লেখ্য ইউনিয়ন পরিষদসহ কয়েক শত ঘর বাড়ি। দের বছর পূর্বে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও এমপি পংকজ দেব নাথ বাহেরচর এলাকা পরিদর্শন করেন । পরে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল ( অবঃ ) জাহিদ ফারুক শামীম বাঁধ নির্মাণের জন্য আশ^স দিয়ে থাকেন। দীর্ঘ দের বছর পার হলেও ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পায়নি গ্রামবাসী । ফলে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এমনটাই অভিযোগ করেছেন ওই গ্রামের একাধীক ব্যাক্তি।
হিজলা উপজেলার সাবেক মুক্তি যোদ্ধা কমান্ডার ছানোয়ার হোসেন বলেন, ফসলি জমি আজ নদী ভাঙনের হুমকির মুখে। মেঘনা নদীর ভাঙ্গন ঠেকাতে বাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন। তা না হলে বর্ষা মৌসুমে বাড়ি,ঘরসহ ইউনিয়ন পরিষদটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এসময় তিনি আরো বলেন, মেঘনা নদীতে অর্ধেক এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। দ্রুত ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর চ্যানেল পরিবর্তন এবং ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের পাশাপাশি বাহেরচর গ্রামকে রক্ষায় দ্রুত বাঁধের কাজ শুরু করা হোক। অন্যথায় কয়েক বছরের মধ্যে হিজলা উপজেলা দেশের মানচিত্র থেকে মুছে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলো বাহেরচর গ্রামের নদী ভাঙন কবলিত এলাকার কয়েক শত ভুক্তভোগী আমজনতা।
মেঘনা নদীর ভাঙণের বিষয়টি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল ( অবঃ ) জাহিদ ফারুক শামীম’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেহেন্দিগঞ্জে আমি নিজে দাড়িয়ে থেকে ড্রেজিং করাইছি। উলানিয়াতে একটা প্রকল্প চলতাছে। এক জাগায় করলে হবে না,সব জাগায় নদী ভাঙ্গা। প্রকল্প আমাদের হাতে আছে । ১২২ টা প্রকল্প চলমান রয়েছে। ২১ হাজার কোটি টাকার কাজ চলছে আমাদের। এমপি পংকজ দেব নাথকে নিয়ে একবার না আমি দুই বার গেছি । ড্রেজিং এর ওই খানে আমি তিন/ চার বার গেছি। বাহেরচর গ্রামের বিষয়টা আমি এখনি দেখতাছি।
Leave a Reply