সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন
শামীম আহমেদ ॥ বরিশাল নগরীর ২৯ নং ওয়ার্ডের কাশিপুরের তহশিল অফিস সংলগ্ম হাতেম মীরার পুকুরের ভিতর ময়লা আবর্জনা প্রতিনিয়ত ফেলে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটাচ্ছে।
সেখানকার দুটি বহুতল ভবনের যতসব ময়লা আবর্জনার স্তুপ পুকুরে নিক্ষেপ করায় স্থানীয় জন সাধারন নারী-পুরুষের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ওই পুকুরে স্থানীয় শত শত মানুষ গোসল করেন। এমনকি পুকুর থেকে রান্না বান্নার পানি ব্যবহার করে আসছেন বসবাসরত শতাধিক পরিবার।
স্থানীয়রা জানান, ভবন দুটির মধ্যে একটি ভবনের মালিক জনতা ব্যাংকে কর্মরত মাহমুদুর রহমান। আরেকটি ভবনের মালিক ব্যাংকে কর্মরত নোবেল। এই দুটি ভবন থেকে দিনরাত পুকুরে ময়লা ফেলে পুকুরের পানি প্রতিনিয়ত দুষিত করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা ভবন দুটি মালিককে ময়লা-আবর্জনা পুকুরে ফেলতে নিষেধ করা সত্বেও তারা এসবের কথায় কোন কর্নপাত করছে না।
শত শত মানুষ যেখানে ওই পুকুরের পানি ব্যবহার করে আসছে, সেই পুকুরে ময়লা প্রতিনিয়ত নানান কায়দায় ময়লা ফেলায় স্থানীয় নারী-পুরুষরা গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মাহমুদুর রহমান ও নোবেলের মালিকানাধীন বহুতল ভবন থেকে এভাবে ময়লা ফেলায় দুষিত পানি মানুষ ব্যবহার করছেন।
সরেজমিনে গণমাধ্যম কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে ভবন মালিক মাহামুদুরের রহমানের স্ত্রী পরিচয়ে এক নারী বলেন, পুকুরে ময়লা ফেলার জন্য আমাকে সিটি কর্পোরেশন অনুমোতি দিয়েছে। ওই নারী দাম্ভিকতার সুরে বলেন, এ বিষয়টি সিটি মেয়রও জানেন। স্থানীয় মো: কামরুল হাসান লিটন, বাবুল সিকদার, এ্যাড.মো: দুলাল, মেহেদি হাসানসহ অসংখ্য মানুষ বিষয়টির প্রতিকারে পরিবেশ অধিদপ্তর, বরিশাল জেলা প্রশাসনের আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন।
তাদের ভাষ্য, পুকুরের পানি কোনভাবেই দুষিত করা যাবে না। পুকুরে যারা ময়লা ফেলে দুষিত করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এজন্য বরিশাল সিটি মেয়র, সরকারের দায়িত্বশীল দপ্তর এবং বরিশাল নগরীর সচেতন মহলের আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা। এসব বিষয়ে ভবন মালিক মাহামুদুর রহমানের ব্যক্তিগত সেলফোনে আলাপ করলে তিনি পুকুরে ময়লা ফেলার বিষয়টি এড়িয়ে যান। অপর ভবন মালিক চকবাজার জনতা ব্যাংকে কর্মরত নোবেলও তার ভবন থেকে পুকুরে ময়লা বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান।
Leave a Reply