বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন
ইমরান হোসেন: বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের পূর্ব পাশে (পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন) বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের নতুন ভবন নির্মান কাজ শুরু হয়েছে মাস খানেক পূর্বে। তবে এতদিন এই প্রতিষ্ঠানটি হওয়ার কথা শুনে এলাকাবাসীর মাঝে যতটা খুশির বানী ছড়ালেও পরিবেশ অধিদপ্তরে ভবন নির্মান করতে গিয়ে নথুল্লাবাদ এলাকার প্রায় ৫শ পরিবারের ব্যাবহারিত একটি ড্রেন আটকে দেওয়ায় এলাকাবসীর মাঝে তীব্র ক্ষোভ যেগেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নথুল্লাবাদ নয়ন বোডিংয়ের সত্তাধীকারী স্থানীয় শেখ সামছুল আলম মিলন গনমাধ্যম কর্মীদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, আমাদের এই এরিয়ার ৫শ পরিবারের ব্যাবহার করা সিটি কর্পোরেশনের ড্রেনটি গত ৮তারিখ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এরপর থেকে আমাদের এখানের ড্রেনের পানি আর বের হতে না পারায় ড্রেনের পানি ওভার লোড হয়ে এলাকা ময়লা পানিতে তলিয়ে যায়। আমরা উপায়অন্তর না পেয়ে এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবার মিলে নিজেদের টাকায় একটি অস্থায়ী ড্রেন তৈরি করেছি।
তবে তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। প্রতিদিন সকাল হলেই ড্রেনের পানি বের হয়ে দোকানের সামনের সড়ক ও বাড়িঘর তলিয়ে যায়। এ বিষয়ে এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিসিসির ড্রেনটি আটকানো। যার কারনে পুরো
এলাকা তলিয়ে গেছে। অপরদিকে ময়লা পানি বের হতে না পারায় চারদিকে দুর্গন্ধ ছরিয়ে যাচ্ছে। আরে তাতে বাড়ছে মশার উৎপাত। এবিষয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ ফারুখ আহম্মেদ বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর কেন, কোন সরকারী – বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে বিসিসির ড্রেন আটকিয়ে রাখার বৈধতা নেই। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যাবস্থা গ্রহন করতেছি। এদিকে বিষয়টি নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ড্রেন আটকানোর বিষয়ে পরিবেশ অধিপ্তরের কোন হাত নেই। গণপূর্ত অধিদপ্তর কাজ করছে, তারা বলতে পারবে কি করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের এই ভবন নির্মান কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন মিজানুর রহমান খান নামের জনৈক এক ঠিকাদার। বিসিসির ড্রেন অবৈধ বাভে আটকে রাখার বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য একাদিক বার তার সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভুগী অসহায় বাসীন্দাদের দাবী অতিদ্রুত যেন তাদের নিত্যদিনের ব্যাবহারিত বিসিসির এই ড্রেনটি যেন খুলে দেওয়া হয় কিংবা বিকল্প ব্যাবস্থা করা হয়। নয়তো এর প্রভাব আগামীতে আরো ভয়াবহ আকার ধারন করতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে তারা বরিশাল সিটি মেয়র ও জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নথুল্লাবাদ বাসী।
Leave a Reply