মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ ঝালকাঠিতে খোলা বাজারে (ওএমএস) চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তালিকা করে এসব চাল দেওয়ায় বঞ্চিত হচ্ছে নিম্ন আয়ের অসংখ্য মানুষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে চাল না পেয়ে তারা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আবদুস সালামকে লাঞ্ছিত করে। চাল বঞ্চিতরা ওএমএস এর গাড়ি দেখলেই চারদিক থেকে ঘিরে রাখছেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চাল না পাওয়া লোকজন অভিযোগ করেন, গত ৫ এপ্রিল থেকে ঝালকাঠি পৌর এলাকায় জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে ১০ টাকা দরে ১০ কেজি করে চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়। অনেক ডিলার ৫ কেজির বেশি চাল দেয়নি। বিষয়টি পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়। জেলা প্রশাসন পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে তালিকা করে চাল বিক্রির পরামর্শ দেয়। পৌর মেয়র ও কাউন্সিলররা দুই হাজার ২০০ লোকের তালিকা করে ৫ জন ডিলারের কাছে দেন। তালিকা দেখে বৃহস্পতিবার থেকে জনপ্রতি ১০ কেজি করে চাল বিক্রি করছেন ডিলাররা। এতে অনেক দিনমজুর, খেটে খাওয়া ও কর্মহীন মানুষ চাল থেকে বঞ্চিত হয়। চাল বঞ্চিতরা বৃহস্পতিবার দুপুরে ওএমএস ডিলারদের অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আবদুস সালাম সিটিপার্কের মধ্যে ওএমএসের এক ডিলারের বিতরণ দেখতে গিয়ে লাঞ্ছিত হন। পরে তিনি দৌড়ে চাল বিতরণের গাড়িতে উঠে রক্ষা পান। পৌরসভার সকল বাসিন্দাদের এ চাল কেনার সুযোগ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা।
শহরের নতুন চর এলাকার অটোরিকশাচালক সোহাগ হাওলাদার বলেন, ১৬ দিন ধরে অটোরিকশা বন্ধ আমরা খামু কি। কাউন্সিলরদের কাছে নাম দিছি, কিন্তু ডিলার বলেন নাম নাই। অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও চাল পাইনি। শুধু আমি না, এখানে অনেকেই চাল পায়নি। চাল না পেয়ে সবাই ক্ষুব্ধ।
শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সঞ্জয় দাস বলেন, আমরা চাল না পেয়ে বিক্ষোভ করলে, খাদ্য নিয়ন্ত্রক আসেন। আমরা তার কাছে জানতে চেয়েছি কেন চাল পাবো না। তিনি এর জবাব না দেওয়ায় লোকজন তাকে ঘিরে ফেলে বিষয়টির জবাব চায়।
লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আবদুস সালাম বলেন, পৌরসভার তালিকা অনুযায়ী প্রতিদিন ৫টি গাড়িতে ২০ টন চাল বিক্রির জন্য দেওয়া হচ্ছে। যারা চাল পাচ্ছে না, তাদের পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
Leave a Reply