গৌরনদীতে বিলুপ্তির পথে দেশীও প্রজাতির মাছ Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:
টিকটকারদের জন্য সুখবর দিল ইউএমজি কুয়াকাটায় তৃষ্ণার্ত পথচারীদের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বরিশালে বৃষ্টির পূর্বাভাস এক যুগ পর ৭০ বছরের বৃদ্ধাকে পরিবারে ফিরিয়ে দিল ফেসবুক! দেশের বাজারে কমেই চলছে সোনার দাম শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনজীবী পাঠালেন আইনি নোটিশ শেবাচিমে র‌্যালী, বিশেষ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী পালিত বরিশালে নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকদের উপর হামলা, ইউপি সদস্য গ্রেফতার আওয়ামী লীগকে নির্বাচনী প্রস্তুতি দেখার আমন্ত্রণ জানালো ভারত একই সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী ও প্রধানমন্ত্রীর পার্সোনাল অফিসার তিনি!




গৌরনদীতে বিলুপ্তির পথে দেশীও প্রজাতির মাছ

গৌরনদীতে বিলুপ্তির পথে দেশীও প্রজাতির মাছ




মোঃ মাসুদ সরদার, গৌরনদী বরিশাল প্রতিনিধি: বরিশালের গৌরনদীর উপজেলায় দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন ছোট-বড় মাছ বিলুপ্তির পথে। হারিয়ে যাওয়া ওই সব মাছের স্বাদ ভুলে যাচ্ছে মানুষেরা। কয়েক বছর আগেও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ছোট-বড় নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর ডোবায় এবং ফসলী ক্ষেতে প্রচুর দেশীয় প্রজাতির মাছ পাওয়া যেত। এক শ্রেণীর মানুষ মাছ ধরাকে তাদের পেশা হিসেবে নিয়েছিল। কিন্তু যত্রতত্র মাছ আর পাওয়া না যাওয়ায় সে সকল জেলেরা বর্তমানে বিভিন্ন পেশা বেছে নিয়েছে।

বিলুপ্তি হওয়া মাছের মধ্যে রয়েছে বোয়াল, মাগুর, কৈ, শিং, তেলা পোকা, শৌল, পুটি, রয়না, পাবদা, টাকি, বাইন প্রভৃতি। ইদানীং পুঁটি, জাত টাকি, চিংড়ী, তিত পুঁটি, টেংরা, বাইলা, বাইন মাছগুলোও হাট-বাজারে তেমন চোখে পরেনা। মাঝে মধ্যে পাওয়া গেলেও দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। বৃদ্ধ আব্দুর রশিদ, কিশোর বয়স থেকেই মাছ ধরাকে সে পেশা হিসেবে নিয়েছিল। খাল-বিল, নদী, ডোবা, পুকুর থেকে মাছ ধরে হাট-বাজারে বিক্রির মাধ্যমেই আব্দুর রশিদ তার সংসার চালাতো। তিন ছেলে-পাচঁ মেয়েকে মাছ ধরেই বড় করেছেন। ১০/১২ বছর শহিদুল ইসলাম মাছ ধরেনা বলে জানায়। তার মতে দের যুগের মধ্যে কম পক্ষে ৮/১০ প্রকারের দেশীয় প্রজাতির মিঠা পানির মাছ বিলুপ্তি হয়ে গেছে।

দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হওয়ার কারণ হিসেবে উপজেলা মৎস্য কর্মর্কতা নজরুল ইসলাম জানান, দেশীয় প্রজাতির মাছ যত্রতত্র ডিম ছেড়ে বংশ বিস্তারের মাধ্যমে বড় হয়, কিন্তু গ্রামের গরীব ও নিম্নবিত্ত মানুষেরা শুষ্ক মওসুমে সামান্য পানি থাকা ডোবাগুলো সেচে সকল মাছ নির্বিচারে ধরার ফলে মাছের বংশ বিস্তারে চরম বিঘ্ন ঘটে। আবার ফসলী জমিতে প্রচুর কীটনাশক প্রয়োগ করায় পানি দূষিত হয়ে মাছের মৃত্যু, রোগবালাই বৃদ্ধি এবং প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হচ্ছে, ফলে পরবর্তি বছরে পর্যায়ক্রমে দেশীয় মাছ আর পাওয়া যায়না। মাঝে মধ্যে দু’চারটা পাওয়া গেলেও দাম আকাশচুম্বি।

এক্ষেত্রে বাজার দখল করছে বিদেশী কার্প জাতীয় বিভিন্ন মাছ। হাট-বাজারে এখন বিদেশী কার্প জাতীয় মাছের প্রচুর সবারাহ। ক্রেতারা বাজারে দেশীয় প্রজাতির মাছ না পেয়ে বাধ্য হয়েই স্বাদহীন কার্প জাতীয় মাছ কিনছেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD