কাঁঠালিয়ায় পোকা দমনে পাচিং পদ্ধতি Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




কাঁঠালিয়ায় পোকা দমনে পাচিং পদ্ধতি

কাঁঠালিয়ায় পোকা দমনে পাচিং পদ্ধতি




কাঁঠালিয়া প্রতিনিধি॥  ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার কৃষকের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আমন ক্ষেতের পোকা দমন করার পাচিং পদ্ধতি। ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ থেকে রোপা ক্ষেত রক্ষায় এ পদ্ধতি একটি কৃষি বান্ধব প্রযুক্তি।সাধারণত এ অঞ্চলে কৃষকরা দুই ধরণের পাচিং ব্যবহার করেছে। লাইভ পাচিং ও ডেথ পাচিং। এ প্রযুক্তি প্রয়োগে ধানের ক্ষেতে বালাইনাশক প্রয়োজন হয় না। একর প্রতি ক্ষেতে ১০ থেকে ১২ টি বাঁশের কি কিংবা গাছের ডাল পুতে দিতে হয়।

এ পাচিংয়ের (খুটি) উপর বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বসে ক্ষতিকারক পোকা খেয়ে ফেলে। এর ফলে জমিতে কীটনাশক খরচ কম ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাচ্ছে। এছাড়া কৃষকরাও এ পদ্ধতি ব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন বলে কৃষিবিদরা মনে করছেন।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার গগ্রম গঞ্জের কৃষকদের ক্ষেত সবুজের সমারোহ। বাতাসে সবুজ দুলছে। ক্ষেতের মধ্যে বাঁশের কি ও গাছের ডাল পোতা রয়েছে। ওই পাচিং (খুঁটিতে) ফিঙ্গে, শালিক, দোয়েলসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বসে আছে। সুযোগ বুঝে ধানক্ষেতে থাকা ক্ষতিকর পোকা ওইসব পাখিরা খেয়ে ফেলছে। তবে বড় ধরণের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবছর বাম্পার ফলন পাওয়ার উজ্জল সম্ভাবনায় কৃষকের চোখে মুখে উচ্ছলতা ফুটে উঠেছে।

কৃষি অফিসের তথ্য সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে প্রায় ১০ হাজার ৯ শ’হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ১৪’শ ৫০ হেক্টর উফশী ও ৯ হজার ৪শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় ধানের চাষ করা হয়েছে।

কৃষকদের সূত্রে জানা গেছে, ক্ষেতের ক্ষতিকর ঘাসফড়িং, পাতা মোড়ানো পোকা, চুঙ্গি ও মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। এ সকল পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষায় এ পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে অনেকটা কীটনাশকের ব্যবহার কমে গেছে। উপজেলার সকল কৃষকের মাঝে এ পদ্ধতিটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।

দক্ষিন চেঁচরী গ্রামের কৃষক শাহআলম হাওলাদার বলেন, এ বছর আমি ক্ষেতে পাচিং পদ্ধতির প্রযুক্তি ব্যবহার করেছি। এতে খরচ নেই।দক্ষিন চেঁচরী গ্রামের অপর কৃষক ফারুক ফরাজী বলেন, বাড়ীর গাছ থেকে ডাল কেটে ক্ষেতে পুতে দিয়েছি। ওই ডালে বসা পাখিরাই ক্ষেতের ক্ষতিকারক পোকা খেয়ে ফেলছে। এতে যেমন আর্থিক উপকার হচ্ছে, তেমনি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, পাচিং পদ্ধতি কৃষকের কৃষি ও পরিবেশ বান্ধব একটি পদ্ধতি। কৃষকদের মাঝে এ পদ্ধতিটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সকল কৃষকদের পাচিং পদ্ধতির আওতায় আনার জন্য কাজ করছি। কোন খরচ ছাড়াই এ পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্ষেতে পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করতে পারবে কৃষকরা।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD