বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন
কলাপাড়া প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় খাজুরা আশ্রয়নকেন্দ্রটির এখন বেহাল দশা। পর্যটনকেন্দ্র কুয়কাটার পশ্চিম দিকে অদূরেই ফাঁসিপাড়া গ্রামে ১৯৯৯ সালে নির্মিত হয় আশ্রয়নকেন্দ্রটি। এখানে ৬০টি পরিবারের ৩ শতাধিক মানুষ বসবাস করছে।
মাস যায়, ঘুরে আসে বছর; দুঃখ-কষ্ট লাঘব হয় না তাদের। নির্মাণের পর থেকে চলাচলের জন্য নেই রাস্তা। অথচ নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতির শেষ থাকে না। নির্বাচন শেষ হলে সেই প্রতিশ্রুতিরকেউ রাখে না। এসব অভিযোগ আশ্রয়নবাসীর।
আশ্রয়ন কেন্দ্রটি ঘুরে দেখা গেছে, অভিভাবকহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে এ আশ্রয়ন প্রকল্পটি। ১০টি ব্যারাকে ৬০টি কক্ষ। ৩৬টি টয়লেটের মধ্যে ৩০টিই নষ্ট হয়ে রয়েছে ৪ বছর ধরে। এখানে বসবাসকারীদের জন্য ৬টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হলেও ৪টিই নষ্ট। ২টি ভালো থাকলেও মাঝেমধ্যেই বালু ও লবণাক্ত পানি ওঠে। তাই খাবার পানি আনতে হয় অনেক দূর থেকে। এছাড়া গোসল করতে হয় পাশের খালের ময়লাযুক্ত পানিতে। মোট কথা এ প্রকল্পে বসবাসরত লোকজন নানা সমস্যায় জর্জরিত।
এদিকে আলীপুর বন্দরে যেতে ২০০৩ সালে নির্মাণ করা হয় খাজুরা আয়রণ সেতুটি। সেটিও বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। আশ্রয়বাসী চাঁদা তুলে বাঁশের সাঁকো তৈরী করে চলাচল করছে।
একাধিক আশ্রয়বাসী বলেন, যদি বর্ষাকালে আসতেন তাহলে দেখতেন আমরা কতো দুর্ভোগে থাকি। তাদের দাবি, দফায় দফায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ধর্না দিলেও এগিয়ে আসেনি কেউ। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ আশ্রয়ন প্রকল্পের বসবাসকারীদের।
ফাঁসিপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, বর্তমানে টয়লেট ও নলকূপের সমস্যা। জরুরি ভিত্তিতে এগুলো সংস্কার করা দরকার। সাধারণ সম্পাদক শ্রী সুধীর চন্দ্র দাস বলেন, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে ঘরগুলো উঁচু করে মাটি ভরাট না করলে ঘরে থাকা যাবে না।
এ বিষয়ে লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, আশ্রয়নবাসীর টয়লেট ও নলকূপের সমস্যা সমাধানের জন্য চাহিদাপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহীদুল হক বলেন, নলকূপের সমস্যা অচিরেই দূর হবে। টয়লেট ও ঘর সংস্কারের বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করবো।
Leave a Reply