শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৪ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির রাজাপুরে চলমান পিএসসি পরীক্ষায় বডি চেইঞ্জ করে অংশগ্রহণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার রাজাপুর সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলমান পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। জানাগেছে, উপজেলার ৩০ নং রাজাপুর সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনী পড়ুয়া সুরভী আক্তার তার নাম রেজিস্ট্রশন সহ পরীক্ষার প্রবেশপত্র আসার আগে পারিবারিক সমস্যা থাকায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারায় প্রধান শিক্ষক মাহমুদা খানম একই বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী শামীমা আক্তারকে দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করায়।
খবর পেয়ে গোয়েন্দা সংস্থার একটি বিশেষ টিম ঐ বিদ্যালয়ে পিএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে আসে। কিন্তু তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে কেন্দ্র সচিব মাহমুদা খানম প্রক্সি পরীক্ষার্থীকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরটি কেটে অনপুস্থিত দেখায় এবং গোয়েন্দা সংস্থা ছবি প্রদর্শন করলে শামীমাকে সুরভী দাবী করে বলেন অসুস্থ্যতার কারণে আজকে পরীক্ষায় অনুপস্থিত রয়েছে। এ সময় গোয়েন্দা সংস্থা কেন্দ্র থেকে বের হয়ে ছবি নিয়ে শামীমার বাড়িতে উপস্থিত হলে শামীমা (কথিত সুরভী) জানায় সে সম্পূর্ন সুস্থ্য রয়েছে এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহনের কথা স্বীকার করে। শামীমার ছোট ভাই গোয়েন্দা সংস্থাকে জানায় তার আপু রাজাপুর সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনীর ‘খ’ শাখার ছাত্রী রোল নং ৩৫।
শামীমা উপজেলার ডিগ্রী কলেজ এলাকার মোঃ শামীম মৃধার মেয়ে ও অত্র বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা নাসরিনের দেবরের মেয়ে। এ ব্যাপারে ঐ বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনীর একাদিক শিক্ষার্থীর কাছে ছবি প্রদর্শন করলে তারা নিশ্চিত করেন প্রক্সি দেয়া পরীক্ষার্থী তাদের সহপাঠি ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী নাম শামীমা।এ ব্যাপারে শামীমার বাবা শামীম মৃধা জানায়, আমার মেয়ে ৩০ নং রাজাপুর সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেনীর খ শাখার ছাত্রী। চলমান পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের একটি মেয়ে অনুপস্থিত থাকায় মাহমুদা ভাবি আমার মেয়েকে দিয়ে পরীক্ষা দেয়াচ্ছে। এ বিষয়ে টিও খান মোহাম্মদ আলমগীর জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তদন্ত করে সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে ইউএনও আফরোজ বেগম পারুল জানান, আমি বিষয়টি শুনেছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা খানম জানান, বিদ্যালয়ের সাবেক পানিসমেন্ট বদলী হওয়া বর্তমানে কেওতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিক চক্রান্ত করে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানান।
তিনি আরও জানান, এসব ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যে। তার বিরুদ্ধে জামায়াত বিএনপির একটি গ্রুপও ষরযন্ত্র করে তাকে এ বিদ্যালয় থেকে সরানোর একটি প্রক্রিয়।এ ব্যাপারে সহকরী শিক্ষিকা নাসরিন বলেন, এমন একটি ঘটনা তিনি প্রধান শিক্ষক মাহমুদা খানমের কাছ থেকে শুনেছেন।
Leave a Reply