শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:নগরী নজিরবিহীন পড়েছে। আজকে অনুষ্ঠিতব্য ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, ব্যাটেলিয়ন ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে নগর জুড়ে নিরাপত্তা বলায় তৈরী করা হয়েছে। সেই সাথে রয়েছে ৫৪ জন নির্বাচনী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং রয়েছেন ৯ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট। নির্বাচনে কোন ধরনের অনিয়ম কিংবা বিশৃঙ্খলা দেখলেই সাথে সাথে প্রতিরোধে কাজ করবে তারা।
নির্বাচন অফিস সূত্র জানিয়েছে, ৩ হাজারের বেশি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ২৮ থেকে ভোট গ্রহনের পরদিন ৩১ জুলাই পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়জিত থাকবে। তাদের পাশাপাশি থাকবে মোবাইল কোর্ট। ভোটাররা যাতে ভোট দিতে কেন্দ্রে আসতে পারে এবং ভোট দিয়ে নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরতে পারে সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখবেন তারা। পাশাপাশি ভোট কেন্দ্রে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশনা রয়েছে পুলিশ সদস্যদের।
প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানাগেছে, নির্বাচন উপলক্ষ্যে বরিশালে চারশত সদস্য’র ১৯ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। ইতিপূর্বে ১৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের কথা থাকলেও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করে পরবর্তীতে সেই সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে নির্বাচন কমিশন। ১৯ প্লাটুন বিজিবি’র মধ্যে ১৫ প্লাটুন বিজিবি মাঠ পর্যায়ে এবং চার প্লাটুন বিজিবি স্ট্যাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করছে। বিজিবি সদস্যরা শনিবার সকাল থেকেই নগরীতে টহল দিচ্ছে।
এদিকে র্যাব-৮ এর পক্ষ থেকে প্রায় তিনশ সদস্য বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। যার মধ্যে ৩০টিটিম স্ট্যাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। রিজার্ভ রয়েছে আরো চারটি টিম। যারা জরুরী প্রয়োজনে কাজ করবে। অবশ্য শনিবার থেকেই নগরীতে র্যাবের টহল অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ২ হাজার ১৬৯ জন পুলিশ সদস্য নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন। যার মধ্যে ২ মেট্রোপলিটন ও বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে মোট ২ হাজার ১৩ জন পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়নের ১৫৬ জন সদস্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় থাকবে। এছাড়া আনসার বাহিনীর সদস্য থাকবে ২ হাজার ১৫৯ জন। এদের মধ্যে ৪৩৭ জন ব্যাটেলিয়ান আনসার। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার সহ মোট ৯ জন করে অস্ত্রধারী আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য মোতায়েন থাকবেন।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ৩০ জুলাই সিটি নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে তা নজিরবিহীন। কেননা বরিশালের নির্বাচন প্রেক্ষাপটে ইতিহাসে প্রথম এত সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি।
এবারের সিটি নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনিক আয়োজন বিগত নির্বাচনের ইতিহাস পাল্টে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এমন আয়োজন নির্বাচনের সুষ্ঠু, অবাধ এবং নিরপেক্ষতার সুবাতাস বয়ে আনার ইঙ্গিত বলেও মনে করছেন নগরীর সচেতন নগরবাসি। তবে শেষ পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের ভুমিকা কি হয় সে নিয়েও আশংকায় রয়েছেন তারা।
Leave a Reply