বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাম্রাজ্যবাদ, সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা, লুটেরা-দুর্নীতিবাজদের প্রতিহত করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শ্রমনীতি বাস্তবায়ন করার দাবিসহ ১১ দফা দাবিতে বরিশালে শ্রমিক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, জাতীয় নারী শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বরিশাল জেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন, মহানগর দোকান কর্মচারী ইউনিয়ন, নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশন, দর্জি শ্রমিক সংগ্রাম কমিটি, বস্তিবাসী ইউনিয়ন, প্রেস ইউনিয়ন ও রিক্সা-ভ্যান-ঠ্যালাগাড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন।
শ্রমিক নেতা স্বপন দত্তের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন শ্রমিক নেতা অ্যাডভোকেট এ কে আজাদ, শ্রমিক নেতা আবু সাঈদ, শেখ আবুল হোসেন, মোঃ আলম খান, জে কে মুকুল, তুষার সেন, সেকান্দার সিকদার, বিধান কর্মকার, রনি তালুকদার, অপূর্ব গৌতম প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাম্রাজ্যবাদ, সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা, লুটেরা-দুর্নীতিবাজদের প্রতিহত করতে হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শ্রমনীতি বাস্তবায়ন করতে হবে, চাকুরীর নিরাপত্তা, দোকান কর্মচারী সহ বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কর্মচারীদের নিয়োগপত্র, ন্যূনতম মজুরী ২০,০০০ টাকা, সরকারি গেজেট অনুযায়ী দর্জি শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ, ভর্তুকি মূল্যে রেশনিং ব্যবস্থা চালু, বস্তিবাসীদের স্ব স্ব স্থানে বন্দোবস্ত প্রদান, শ্রম আইন সংশোধন পূর্বক ইমারত সহ অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকদের সরকারি তালিকাভুক্ত ও শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করা, ষাটোর্ধ শ্রমিকদের পেনশন প্রদান এবং বাড়িভাড়া, শিক্ষা-চিকিৎসা ব্যয় কমানো, দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি রোধ, লঞ্চ ভাড়া, বাস ভাড়া কমানো, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ সহ চিকিৎসায় অব্যবস্থাপনা-নৈরাজ্য অবিলম্বে দূর করা, মজুরী কমিশন গঠন করে মানবিক জীবন যাপন উপযোগী মজুরী নির্ধারণ করতে হবে, সকল সেক্টরে মজুরী নির্ধারণের জন্য কমিশনের অধীনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মজুরীবোর্ড গঠন সহ ১১ দফা দাবী বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সাম্রাজ্যবাদ নির্ভর লুটেরা ধনিক বণিক ও সাম্প্রদায়িক শ্রেণির দল ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে রঞ্জিত মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে ছিনতাই করে নিয়েছে। শ্রমিক শ্রেণির মেহনতি মানুষের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মাধ্যমে তা উদ্ধারের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সভা শেষে একটি লাল পতাকার বর্ণাঢ্য মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে অশ্বিনী কুমার হলে এসে শেষ হয়।
এর পূর্বে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আহবানে ১১ দফা সম্বলিত একটি লিফলেট শহরের শিল্প প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক কর্মচারীসহ সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
Leave a Reply