শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১১ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে অবহেলায় চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে ভাঙচুর করা হয়েছে। রোববার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালের নতুন ভবনের চারতলায় মেডিসিন ইউনিট-২-এর চিকিৎসকদের কক্ষে এই ভাঙচুর করা হয়। মৃত রোগীর নাম শহিদুল ইসলাম। তিনি বরিশাল সদর উপজেলার কলসগ্রাম এলাকার মরহুম আলী হোসেনের ছেলে।
মৃতের শ্যালক ফারুক হাওলাদার জানান, তার ভগ্নিপতি শনিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সকাল ৯টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-২-এ ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর ভগ্নিপতির বুকে ব্যথা ও শ্বাস কষ্ট বেড়ে যায়। তাকে দ্রুত অক্সিজেন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। অক্সিজেন দিতে দেরি করায় তার মৃত্যু হয়। এ সময় ডাক্তার এসে কর্তব্যরত নার্সদের বকাবকি করেন।
তিনি আরো জানান, বাবার মৃত্যুর পর ভাগ্নে জুম্মন ক্ষুদ্ধ হয়ে চিকিৎসকের কক্ষে ভাঙটুর করে। এ ঘটনায় পুলিশ তাকে আটক করে। এর কিছুক্ষণ পর আবার ছেড়ে দেয়।
শেবাচিম হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের এসআই মো: মাইনুল বলেন, মৃতের ছেলে জুম্মন চিকিৎসকের কক্ষে টেবিল, চেয়ার ও কাপ-পিরিচ ভেঙে ফেলে। খবর পেয়ে আমরা গিয়ে জুম্মনকে আটক করি। পরে তার বাবার মৃত্যুর কারণে মানবিক বিবেচনায় চিকিৎসকের অনুরোধে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
রোগীর স্বজনদের দাবি, পর পর তিনটি সিলিন্ডার আনলেও তাতে অক্সিজেন ছিল না। পরে কোনো রকম একটি সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করা গেলেও ততক্ষণে রোগী মৃত্যু হয়। ফলে ক্ষোভে ভাঙচুর করেছেন রোগীর স্বজনরা।
এদিকে মেডিসিন বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. আশিক রহমানের দাবি, চিকিৎসায় কোনো রকম অবহেলা ছিল না। তবে ভাঙচুরের বিষয়ে ক্ষোভ জানিয়ে হাসপাতালে সিসি ক্যামেরা ও নিরাপত্তা জোরদারের কথা জানান তিনি।
ওই ইউনিটের রেজিস্ট্রার ডা. সোলায়মান বলেন, মেডিসিন ওয়ার্ডে প্রতিদিন রোগীর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা নিজেদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেন। তবুও রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়। তাই এ ওয়ার্ডের নিরাপত্তা বাড়ানোসহ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা জরুরি।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসকের তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। চিকিৎসক তিনজন হলে রোগী ৪০০ থাকে। তাই চিকিৎসকরা রোগীদের পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন না। কিন্তু চিকিৎসকদের অবেহলায় রোগীর মৃত্যু হয়, এ কথা সঠিক নয়। চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেন।
Leave a Reply