কলাপাড়ায় মাদ্রাসায় ফান্ড নেই, তাই কাটা হলো সৌন্দর্য বর্ধণের গাছ Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




কলাপাড়ায় মাদ্রাসায় ফান্ড নেই, তাই কাটা হলো সৌন্দর্য বর্ধণের গাছ

কলাপাড়ায় মাদ্রাসায় ফান্ড নেই, তাই কাটা হলো সৌন্দর্য বর্ধণের গাছ

কলাপাড়ায় মাদ্রাসায় ফান্ড নেই, তাই কাটা হলো সৌন্দর্য বর্ধণের গাছ




তানজিল জামান জয়,কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি॥ সরকার সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষ রোপনের উপর জোড় দিলেও ব্যতিক্রম পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নেছারুদ্দিন সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসা। দীর্ঘ দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় চরম অযতœ ও অবহেলায় ছিলো প্রতিণ্ঠানটি।

 

এ কারনে শ্রেণি কক্ষের দড়জা জানালা থেকে শুরু করে টিনের চালের রুয়া,চেড়া নষ্ট হয়ে গেছে। তাই ১২ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসায় ক্লাস চালু করতে মাদ্রাসার প্রবেশ মুখের সৌন্দর্য বর্ধণের গাছ কাটা শুরু করেছে। উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা প্রশাসনের অজান্তেই বৃহস্পতিবার কেটে ফেলা হয়েছে বিশাল আকারের একটি চাম্বল গাছ। যদিও মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল বলছেন, মাদ্রাসায় ফান্ড না থাকায় এ গাছ কেটেছেন। আর গাছ কাটায় পরিচালনা পরিষদের অনুমতি ছিলো।

 

কলাপাড়া পৌর শহরের প্রানকেন্দ্রের এ মাদ্রাসর চারদিক মনোরম সৌন্দর্য মন্ডিত। মাদ্রাসায় প্রবেশ মুখের দুই পাশে বিশাল বিশাল মেহগনি, চাম্বল ও ইউক্যালিপটাশ গাছ সারি সারি করে লাগানো। যার ছায়ায় শিক্ষার্থীরা অবসর কাটায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে মাদ্রাসার টিনের চাল ও দড়জা মেরামতের জন্য কেটে ফেলা হয়েছে প্রায় ত্রিশ বছরের পুরনো বিশাল একটি চাম্বল গাছ।

 

স্থানীয়রা বলেন, এমনিতেই মাদ্রাসায় ঠিকমতো ক্লাস হতো না কখনো। মাদ্রাসার প্রচুর সম্পত্তি থাকলেও ক্লাস রুম কখনোই মেরামত করা হতো না। কিন্তু করোনার কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এখানে কোন শিক্ষকের পদচারনা ছিলো না। এ কারনে অধিকাংশ কাঠের দড়জা, জানালা, টিনের চালের রুয়া, চেড়া পানিতে ভিজে পঁচে গেছে। তাই এগুলো মেরামত করার জন্য গাছ কেটেছেন।

 

বিষয়টি স্বীকার করে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, মাদ্রাসায় ফান্ড না থাকায় তারা টাকার অভাবে এই গাছ কেটে চেরাই করে রুয়া, চেড়া করেছেন। এই গাছ কাটার বিষয়টি অনেক আগেই পরিচালনা পরিষদে অনুমতি ছিলো। তবে সেটা কতো তারিখের সভায় তা জানাতে পারেন নি।

 

কলাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, তিনিও পরিচালনা পরিষদের সদস্য। তবে কোন সভায় এ গাছ কাটার রেজুলেশন হয়েছে তা জানেন না। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানান।

 

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক গনমাধ্যম কে বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি তাকে জানানো হয়নি। তবে কেন কী কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটা হয়েছে তা প্রিন্সিপালের সাথে কথা বলে জানা হবে। তবে সৌন্দর্য বর্ধনের গাছ কাটা ঠিক হয়নি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD