রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪২ অপরাহ্ন
নাজিরপুর প্রতিনিধি॥ পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় আমিনুল নামের এক স্কুলশিক্ষক তার স্ত্রীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। আহত অস্থায় ওই শিক্ষকের স্ত্রী নাজমুন নাহার রুবী (২৬)কে পুলিশ উদ্ধার করেন। এখন ওই নারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার শাঁখারীকাঠী ইউনিয়নের মাদুলিহারানো গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিতা রুবী উপজেলার দীর্ঘা ইউনিয়নের ঝিলবুনিয়া গ্রামে আবুল বাশারের মেয়ে।
তার স্বামী আমিনুল একই উপজেলার শাঁখারীকাঠী ইউনিয়নের মাদুলিহারানো গ্রামের জালাল মোল্লার ছেলে। আমিনুল উপজেলার ৫০নং মধ্য হোগলাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
ওই গৃহবধূ জানান, প্রায় চার বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। সে সময় তার বাবা তার স্বামীকে সাধ্যমত উপহার দেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য তাকে চাপ দিতে থাকেন। এমন অবস্থায় কয়েক দফায় বাবার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে এনে দেন আমিনুলকে। এরই মধ্যে তাদের দুটি মেয়ে জন্ম নেয়।
এদিকে দুটি সন্তানই মেয়ে হওয়ায় এবং যৌতুকের দাবিতে শ্বশুর-শাশুড়ি, ভাসুর-ননদরা তাকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করতে থাকেন। এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকালে ওই গৃহবধূকে তার স্বামী-ভাসুরসহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বেদম মারধর করেন। এতে তার পা কেটে যায় ও মারাত্মক জখম হন।
তিনি জানান, এ অবস্থায় তাকে কোনো চিকিৎসা ও খাবার না দিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা দিনভর একটি কক্ষে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ঈশিতা সাধক জানান, গৃহবধূ রুবীর পায়ে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাতের ক্ষত রয়েছে। এছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্নও রয়েছে।
এ ব্যাপারে আমিনুল ইসলাম মোবাইল ফোনে জানান, মনোমালিন্যের জেরে স্ত্রীর সঙ্গে একটু হাতাহাতি হয়েছে। তবে তার (স্ত্রী) পায়ের আঘাত বেশি, তা বুঝতে পারেননি।
অপরদিকে নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুজ্জামান জানান, বাবার ফোন পেয়ে পুলিশ শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে। তবে ভিকটিমের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply