সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
বাউফল প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর বাউফলে প্রেমের সম্পর্কের ঘটনার সালিশ বৈঠকে কিশোরী কন্যাকে জোর পূর্বক বিয়ে করা, তালাক নেয়া এবং প্রেমিক যুবককে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারসহ আরও ৬ জনের নাম উল্লেখ করে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুন) সকালে প্রেমিক যুবক রমজান হাওলাদারের বড় ভাই হাফেজ মোঃ আল ইমরান বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আইনজীবী এড. মোঃ আল আমিন সাংবাদিকদের জানান, অভিযুক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। প্রথমত তিনি কন্যা নাবালিকা জেনেও জোরপূর্বক তাকে বিয়ে করেন এবং রমজান হাওলাদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে এবং বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা চালান।
এ সব ঘটনা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর কৌশলে চেয়ারম্যান তালাক নামা সৃষ্টি করেন। মামলায় চেয়ারম্যানসহ তার ৫ সহযোগী এবং নিকাহ রেজিষ্ট্রার মাওলানা মোঃ আইয়ুবকে আসামি করা হয়েছে। আদালতে কিশোরী কন্যা নাজমিন আক্তার (১৫) এর জন্ম সনদ এবং রমজান হাওলাদারের চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২য় আমলী আদালতের বিচারক মোঃ জামাল হোসেনের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জেলা পিবিআই প্রধানকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
Leave a Reply