রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৭ অপরাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি॥ বরগুনার আমতলীর চুনাখালী হাটবাজার ইজারাদার কর্তৃক হাটের স্থান ব্যতীত অন্যত্র হাট বাজার বসিয়ে অতিরিক্ত খাজনা আদায় ও সরকারকে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানাগেছে, উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চুনাখালী হাটবাজার বাংলা ১৪২৭ বঙ্গাব্দের জন্য ইজারা প্রাপ্ত হন মাওলানা মো. ফজলুল হক। হাটবাজার ইজারা নেয়ার পর চুনাখালী হাট বাজারে ধান চাল ও ডালের বাজারের জন্য নির্ধারিত স্থান থাকা সত্ত্বেও ইজারাদার বেশি লাভের আশায় সরকারী অনুমতি ব্যতিত দেড় কিলোমটির দুরে গিয়ে পটুয়াখালী কুয়াকাটা মহাসড়কের মহিষকাটা বাসস্টান্ড সড়কের দু পাশে ধান ও ডালের হাটবাজার বসিয়ে নিয়মিত খাজনা আদায় করছেন।
এতে পটুয়াখালী ও কুয়াকাটা সড়কে যান চলাচলে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে বলে স্থানীয় জাকির হোসেন জানান। যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
সেখানে ধান চাল ডাল ক্রয় করতে যাওয়া ব্যবসায়ীরা বলেন, ইজারাদার অতিরিক্তি খাজনা আদায় করে থাকেন। ইজারাদারের চাহিদামত খাজনা প্রদান না করলে তাদের বসতে দেয়া হয়না বলেও জানান তারা।
ধান ও ডাল ক্রয় কারী ব্যবসায়ী বলেন, যেখানে বিক্রেতা খাজনা পরিশোধ করবেন সেখানে ইজারাদার আমরা যারা ক্রয় করতে আসি আমাদের কাছ থেকে খাজনা আদায় করে থাকেন । খাজনা না দিলে আমাদের বসতে দেয়না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, ধানের বস্তা প্রতি ১৫ টাকা ডালের বস্তা প্রতি ২০ টাকা করে ইজারাদার আদায় করে থাকেন। স্থানীয় মো. খোকন হাওলাদার বলেন, প্রতি শনিবার মহিষকাটা বাসস্টান্ডে প্রায় ২ হাজার মন ধান ও ডাল ক্রয় বিক্রয় হয়। এতে ইজারাদার অবৈধ ভাবে খাজনা আদায় করে থাকেন এবং সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে থাকেন। ব্যবসায়ীরা ও স্থানীয়রা হাটের যায়গায় ধান ও ডালের বাজার বসানোর জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী করেছেন।
এ প্রসঙ্গে হাটের ইজারাদার মাওলানা মো. ফজলুল হক মহিষকাটা বাসস্টান্ডে ধানও ডালের হাট অবৈধ ভাবে বসানোর কথা স্বীকার করে বলেন, চুনাখালী বাজারে যাওয়ার রাস্তা ভাল না হওয়ায় ওখানে হাট বসানো হয়েছে। অতিরিক্ত খাজনা আদায় প্রসঙ্গে বলেন, প্রতি শনিবার ডাল ও ধানের বাজার বিট দিয়ে থাকি যারা বিট নিয়ে খাজনা আদায় করে তারা অতিরিক্ত খাজনা আদায় করলে তাদের আর বিট দেওয়া হবে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে খোজ খবর নিয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply