মুলাদীতে থানার নির্মানাধীন বিধ্বস্ত ভবন পরিদর্শনে গণপূর্ত বিভাগ,ক্ষোভ প্রকাশ Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৫ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




মুলাদীতে থানার নির্মানাধীন বিধ্বস্ত ভবন পরিদর্শনে গণপূর্ত বিভাগ,ক্ষোভ প্রকাশ

মুলাদীতে থানার নির্মানাধীন বিধ্বস্ত ভবন পরিদর্শনে গণপূর্ত বিভাগ,ক্ষোভ প্রকাশ




মুলাদী প্রতিনিধি ॥ মুলাদীতে থানার নির্মানাধীন বিধ্বস্ত ভবন পরিদর্শন করেছেন গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় গণপূর্ত বিভাগের বরিশাল অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বসু, নির্বাহী প্রকৌশলী রিপন রায় ও মুলাদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন থানার নির্মানাধীন বিধ্বস্ত ভবন পরিদর্শন করে ছাদ ও পিলার (ভিত্তি) ধ্বসে যাওয়া দেখতে পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মুলাদী থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল আহসান জানান গত ২৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করে। বেলা আড়াইটার দিকে ছাদ ঢালাইয়ের শেষ মূহুর্তে পিলারসহ ছাদ ধ্বসে পড়ে। এসময় নয়ন নামের এক শ্রমিক আহত হয়।

বিষয়টি তিনি সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রিপন রায় জানান ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা চুক্তিমূল্যে মুলাদী থানার মডেল ভবনের নির্মাণ কাজ পায় মোদাচ্ছের আলী মল্লিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ১৮ মাসের মধ্যে থানার ভবনের কাজ সমাপ্ত করার কথা রয়েছে। ঢালাইয়ের সময় পিলারসহ ছাদ ধ্বসে পড়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ৫ বছরের জন্য ডিফোল্ডার হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করার জন্য সুপারিশ করা হবে। সূত্র জানায় পিলার ধ্বসে পরার সময় কালে গণপূর্ত বিভাগের কোন প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলো না।

কিন্তু ওই দিন সকালে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান উপস্থিত থেকে ঢালাই কাজ শুরু করেন এবং কিছু সময় উপস্থিত থেকে তিনি চলে যান। নির্বাহী প্রকৌশলীকে না জানিয়ে ঢালাই এবং অপর্যাপ্ত সার্টাররিং এর মাধ্যমে ঢালাই করার কারনে পিলার ভেঙ্গে পড়ে। তাছাড়া এ সার্টার বহুদিন পূর্বেই বাধা ছিলো এবং মালামাল না আনার কারনে ঢালাই দেয়া হয় নি। ঠিকাদারের গাফিলতি এবং উপসহকারী প্রকৌশলীর জ্ঞানহীনতার জন্য এদূর্ঘটনা ঘটে। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রয়াশই ঢালাই কাজে অনুপস্থিত থাকেন। ঠিকাদারের পেশাগত মনোভাব না থাকায় নিম্মমানের কাজ করার চেষ্টা করেন। নিচ তলার ছাদ ঢালাইয়ের সময়ও নির্বাহী প্রকৌশলী ছাদের রড় পরিবর্তন, সার্টারিং সঠিক ভাবে করার জন্য নির্দেশ দেন। এতে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ ২ সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে যায়। নির্মান কাজের গুনগত মান নিশ্চিত করার জন্য গণপূর্ত বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসন এক সাথে কাজ করে বলে জানা যায়। আরো জানা যায় এ পর্যন্ত যতটুকু কাজ হয়েছে তার নির্মান সামগ্রী ভাল ছিলো। কিন্তু পোর্ষ্টের সাটারিং ভেঙ্গে পড়ায় এই ভালোকাজ গুলো ম্লান করে দেয়।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD