রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন
বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি॥ ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার জাহের মাতাব্বর এর উপস্থিতিতে গরুচোর অপবাদ দিয়ে ব্যবসায়ী মো. ইয়ামিনকে গণপিটুনি দেয়া হয়েছে।
ইয়ামিন তালুকদার হাট বাজারের মুদি ব্যবসায়ী। তার উন্নত চিকিৎসা জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় শান্তিরহাট এলাকার পদ্মা বিক্সস সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলার ১ নম্বর আসামি মো. আলম নামে এক যুবককে শনিবার আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দৈউলা তালুকদার হাট বাজারে মুদি ব্যবসায়ী মো. ইয়ামিন গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় অটোরিকশায় করে বাছুর নিয়ে শ্বশুরবাড়ি জয়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাতাব্বর বাড়িতে যাচ্ছিলেন। জয়া শান্তির হাট এলাকার পদ্মা বিক্সস সংলগ্ন পৌঁছালে এক দল যুবক তার অটোরিকশা গতিরোধ করে। ইয়ামিনকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে গরুচোর অপবাদ দিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে লাটি সোটা নিয়ে ২০-২৫ জন মিলে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারেন ওই ব্যক্তি গরুচোর নয়। তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করেন। ৩ দিন চিকিৎসার পর ইয়ামিন প্রচণ্ড বমি করায় শুক্রবার তাকে ঢাকাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
এদিকে শুক্রবার ইয়ামিনকে গণপিটুনির ভিডিওটি ভাইরাল হলে পুলিশ থানায় মামলা নেয়। ইয়ামিনের বাবা সহিদুল্ল্যাহ বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় মামলাটি করেন।
ইয়ামিনের বাবা সহিদুল্লাহ কাজী অভিযোগ করে বলেন, ওই এলাকার মেম্বার জাহের মাতাব্বর এর উপস্থিতিতে আমার ছেলেকে গরু চোর অপবাদ দিয়ে গণপিটুনি দেয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার ছেলেকে উদ্ধার না করলে তারা আমার ছেলেকে পিটিয়ে মেরে ফেলতো। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি। আমার ছেলে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। তার অবস্থা খুবই খারাপ। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়েছে।
কুতুবা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জাহের মাতাব্বর বলেন, আমার এলাকার জাহাঙ্গীর চৌকিদার বাড়ির এক নারীর গরু চুরি হয়েছে। তাদের গরু চোর মনে করে তাকে ধরেছে। আমি শুনে পরে গেছি। থানা পুলিশকে খবর দিয়েছি। এখন তারা আমার নামে মিথ্যা বলছে।
এ ব্যাপারে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মাজহারুল আমিন জানান, এ ঘটনায় ৮ জনকে চিহ্নিত ও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত করে মামলা নেয়া হয়েছে। ১ নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় যদি ইউপি সদস্যও জড়িত থাকে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply