শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন
শামীম আহমেদ ॥ দূর্নীতি মুক্ত বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশলী বিভাগ ও কর্মকর্তাদের তদন্তকাজে দীর্ঘ কালক্ষেপনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নগরীর ১৬নং ওয়ার্ডে গোড়াচাঁদ দাস রোড সড়কে দিনের আলোর মাঝে প্লান বহিঃভূত ৬ তলা পারুল মঞ্জিল ভবনের প্রায় কাজ সম্পন্ন করে ফেলেছে প্রবাশী সাইফুল ইসলাম মোল্লা বলে বিসিসিতে একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
বিসিসি প্লান শাখা থেকে জানা গেছে ২০১৯ সালের ২৫ই জুন আরসিসি পাইলিংয়ের মাধ্যমে ৬তলা ভবন নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করার অনুমোদন দেয়া হয়।
পরবর্তীতে ভবন মালিক সাইফুল ইসলাম বিসিসির দেয়া প্লানের নিয়মকে অনিয়ম করে আরসিসি পাইলিংয়ের পরিবর্তে সেখানে গাবগাছের পাইলিং করে দ্রুত ভবনের কাজ শুরুর করার মাধ্যমে প্রায় ৬তলার কাজ শেষ প্রর্যায়ে নিয়ে এসেছে।
এব্যাপারে সরেজমিনে গেলে এলাকার পারুল মঞ্জিল সংলগ্ন ব্যান্ড বক্স ড্রাই ক্লিনার্স পরিচালক মোঃ বাবুল সহ উক্ত এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী সহ একাধিক ব্যাক্তি অভিযোগ করে বলেন এখানে সড়কের পাশে ভবন নির্মান করার প্লানে রয়েছে আরসিসি পিলার পাইলিং করার কথা থাকা সত্বেও তারা গাব গাছ দিয়ে পাইলিং করেছে।
যা ভবিষৎতের জন্য ভবনটি ঝুকি পূর্ন হয়ে থাকবে আমাদের উপর। এবিষয়ে এলাকাবাশী বিভিন্ন সময়ে ভবন মালিককে নিষেধ করার পরও তিনি বিভিন্ন উপর মহলের নাম ব্যবহার ও প্রভাব খাটিয়ে প্লানের নিয়ম ভেঙ্গে তার কাজ করে গেছে।
এই অনিয়ম কাজে অনেকেই বাধা ও নিষেধ করতে গিয়ে ভবন মালিক সাইফুলের তোফের মুখে কুলিয়ে উঠতে না পেরে এক প্রর্যায়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সহ বিসিসি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দেয়া হয়।
বিসিসি’র প্রকৌশলী শাখা থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রকৌশলী বিভাগ থেকে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত ও খতিয়ে দেখার জন্য দায়ীত্ব প্রদান করা হয়।
পরবর্তীতে কালক্ষেপন করে যারাই তদন্তে গেছেন তার পূর্বেই পাইলিং সহ ভবনের কাজ অনেকটাই এগিয়ে যায়। যার ফলে এলাকার বিভিন্ন লোক মারফত সত্যতা পেয়ে তদন্তের প্রতিবেদন বিসিসি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দেয়া হয়।
এরপর থেকেই বিসিসি ভবনের এক দপ্তর থেকে আরেক দপ্তরে ফাইল চালাচালি মন্তরগতিতে চলতে থাকে আর অন্যদিকে সাইফুল ইসলাম মোল্লা এই সুযোগকে ব্যবহার করে তার ভবনের কাজ দ্রুত উপরের তলার কাজ এগিয়ে নিতে থাকেন।
এব্যাপারে প্লানিং শাখা থেকে প্রকৌশলী বিভাগের সকল কর্মকর্তা বিষয়টি অবহিত থাকার পরও তাদের রিপোর্টের ফাইল এতই মন্তর গতিতে চলছে যা দিয়ে পারুল মঞ্জিলের লাগাম টেনে রাখতে পারছে না বিসিসি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বিসিসি’র তদন্তকাজ মন্তরগতিতে চলার কারনে এলাকাবাশী বিষয়টি ভাল ও সুন্দর দৃষ্টিতে না দেখে বিরুপ মন্তব্য করে বলেন শুনেছি বিসিসি নাকি দূর্নীতি মুক্ত হয়েছে তাহলে তাদের কাজ কর্ম এত মন্তর গতিতে চলে কেন?
চোখের সামনে পাকা সড়কের পাশে এধরনের একটি প্লান বহিভূত তলা ভবন হয়ে গেছে অথচ আজ পর্যন্ত বিসিসি থেকে ভবন নির্মানের কাজ কর্ম একদিনের জন্য বন্ধ রেখে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তাদের দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেন।
এব্যাপারে বিসিসি উপ-সহকারী প্রকৌশলী এইচ এম কামাল লোহানীর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি যখন অবিযোগ পাই তার পূর্বে ভবনের প্রায় ৫তলার চাদের কাজ সম্পূর্ন হয়ে গেছে।
এখন পাইলিংয়ে কি কাজ করেছে তা তদন্ত করে বেড় করার যন্ত্র আমাদের এখানে নেই। একমাত্র ঢাকায় আছে যা আমার প্রতিবেদনে উল্লেখ করে দাকিল করে দিয়েছি এখন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখবেন।
এবিষয়ে বিসিসি সহকারী প্রকৌশলী মোকসেমুল হাকিম রেজা বলেন, বিষয়টি দেখা হচ্ছে তবে এখানে যে অভিযোগ রয়েছে তা তদন্ত করে বেড় করতে হলে উচ্চ ক্ষমতা সম্পূন্ন যন্ত্রের প্রয়োজন রয়েছে তার আগে জোড়ালোভাবে তেমন করে অগ্রিম বলা ঠিক হবে না।
এদিকে পারুল মঞ্জিল ভবনের প্রোপাইটার সাইফুল ইসলাম মোল্লার সাথে তিনি বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এটা মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি, আমি বিসিসি’র দেয়া প্লান থেকে কোন অনিয়ম বহিভূত কাজ করি নাই। বিসিসি ইচ্ছে করলেআরো তদন্ত করে দেখতে পারে।
আমি এত টাকা খরচ করে ভবন তৈরী করব আর সেই ভবনের কাজ কেন দূর্বল করব আমার ভবনের প্রতি মায়া আছে।
বেশ কিছুদিন ধরে দেখছি আমার ও ভবনের বিরুদ্ধে প্লানের অভিযোগ এনে বিসিসিতে জমা দিয়ে আমাকে হয়রানী করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এছাড়া তিনি বলেন আমি এখানকার সন্তান হলেও বেশ কয়েক বছর বিদেশ ছিলাম তাই এখানকার নয়-ছয় বুঝিনা ভাই।
Leave a Reply