শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০১ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ সাত ম্যাচে জয় মাত্র দুটিতে। তবুও প্লে-অফে খেলার আশা টিকে আছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর। শনিবার গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে হারাতে পারলে বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে সেরা চার নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের।
সন্ধ্যার ম্যাচে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হবে বেক্সিমকো ঢাকা। মুশফিকরা জিতলে চট্টগ্রামের সঙ্গে প্রথম কোয়ালিফায়ারে দেখা হবে তাদের।
পাঁচ দলের আসর। প্লে-অফ খেলবে চার দল। মাত্র একটি দল ছিটকে পড়বে টুর্নামেন্ট থেকে। সেই দলটি কারা জানতে অপেক্ষা করতে হতে পারে লিগপর্বের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত।
শনিবার দুপুরের ম্যাচে যদি চট্টগ্রামকে হারাতে পারে রাজশাহী, চতুর্থ দল হিসেবে তারাও উঠবে প্লে-অফে। সেক্ষেত্রে বাদ পড়বে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল।
চট্টগ্রাম, বেক্সিমকো ঢাকা, জেমকন খুলনা শেষ চার নিশ্চিত করেছে আগেই। অপেক্ষা একটি দলের। রাজশাহী ও বরিশালের সাত ম্যাচে সমান ৪ পয়েন্ট করে। শেষ রাউন্ডে ভিন্ন ভিন্ন ম্যাচে যদি উভয় দলই জয় পায়, পয়েন্ট হবে সমান ৬ করে।
রানরেটে এগিয়ে থাকাটা এগিয়ে দিচ্ছে রাজশাহীকে। এপর্যন্ত মাত্র দুটি জয় পেলেও বেশ কয়েকটি ম্যাচ খুব কাছে গিয়ে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। প্রতিটি দলের সঙ্গে তরুণদের নিয়ে গড়া দলটি লড়াই করেছে হাড্ডাহাড্ডি।
চট্টগ্রামের বিপক্ষে মুখোমুখি প্রথম দেখায় তারা হেরেছে মাত্র ১ রানে। নিজেদের শেষ ম্যাচে ২২০ রানের পাহাড় গড়েও বরিশালের কাছে হেরেছে তারা।
রাজশাহীর প্রধান অস্ত্র ছিল মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি পাঁচ ম্যাচ। চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরেন গত সপ্তাহে। শেষ ম্যাচে বল হাতে ভালো করতে পারেননি পেস অলরাউন্ডার।
বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নামার আগে শুক্রবার অনুশীলন শেষ করে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসলেন তিনিই। জানালেন ম্যাচ জয়ের লক্ষ্যের কথা, ‘প্রত্যেক ম্যাচের আগে পরিকল্পনা থাকে ভালো ক্রিকেট খেলার, ম্যাচ জেতার। দুর্ভাগ্য যে আমরা শেষের চার-পাঁচটা ম্যাচ ভালো ক্রিকেট খেলেও খুব কাছে গিয়ে হেরেছি। এটা ক্রিকেটে হয় আসলে। যেহেতু আমাদের সুযোগ আছে, জিতলেই প্লে-অফে উঠবো, লক্ষ্য থাকবে কালকের ম্যাচটা জেতার।’
ওয়ানডে টুর্নামেন্টে দারুণ বোলিং করা সাইফউদ্দিনের আশা ছিল টি-টুয়েন্টি আসরে অনেক ভালোকিছুর। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কাপ শুরুর আগেই চোট তাকে ছিটকে দেয়। মাঠে ফিরলেও আগের ছন্দে ফিরতে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন তাকে।
‘যেহেতু প্রেসিডেন্ট কাপে ভালো খেলেছিলাম, ভালো একটা আশা ছিল যে এ টুর্নামেন্টে ভালোকিছু করবো। যাই হোক, বলে কয়ে তো আর ইনজুরি আসে না। তারপরও একটা ইনজুরি থেকে উঠে এসে আবার ভালো ক্রিকেট খেলা, আগের শেপে আসা কিছুটা তো সময় লাগে। তারপরও চেষ্টা করছি নিজের শতভাগ দেয়ার। হয়ত অনেক সময় হবে, অনেক সময় হবে না। চেষ্টা রয়েছে আমার।’
Leave a Reply