বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ মামলা দায়েরের ১০ দিন অতিবাহিত হলেও বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ’র (এনটিআরসিএ) ভুয়া সার্টিফিকেটে চাকরির মামলায় গ্রেপ্তার হয়নি শিক্ষিকা সুরাইয়া ইসলাম বীনা। অভিযুক্ত শিক্ষিকা বিনা আবুল হাসনাত মো. রাসেল নামের এক ব্যক্তির রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে ওই সার্টিফিকেট বানিয়েছিলেন।
সে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শের-ই বাংলা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের শিক্ষিক ছিলেন। আট বছর চাকরির পর তার জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।
এছাড়া উজিরপুর পৌরসভার ১, ২ ও ৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। পূর্বে বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও বর্তমানে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। তার স্বামী খোকন বেপারী গৌরনদী উপজেলার পিংলাকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
মামলার বাদী শের-ই বাংলা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, গত ১১ নভেম্বর এনটিআরসিএ’র ওয়েবসাইটে আমাদের অবহিত করা হয় সুরাইয়া ইসলাম বীনা এনটিআরসিএ’র সার্টিফিকেট ভুয়া রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করেছে।
তার ব্যবহৃত রোল নম্বর- ৬১১৬০০২৬, রেজিস্ট্রেশন নম্বর-৭০১২২৭২ আবুল হাসনাত মো. রাসেল নামের এক ব্যক্তির বলে উল্লেখ করা হয়। তার বাবার নাম গোলাম হোসাইন।
তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের অবহিত করার নির্দেশ দেয়া হয়। ওই নির্দেশ পাওয়ার পর ১৩ নভেম্বর ম্যানেজিং কমিটির সভা আহ্বান করে সেখানে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ১৬ নভেম্বর ওই শিক্ষিকাকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করি। এরপর থেকে আত্মগোপনে চলে যান ওই শিক্ষিকা।
প্রধান শিক্ষক আরো জানান, ২০১২ সালের ২৮ মার্চ ওই শিক্ষিকার আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৫ মে তাকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০১২ সালের ১ নভেম্বর তিনি এমপিওভুক্ত হয়ে ৩১ অক্টোবর ২০২০ পর্যন্ত চাকরি করে আসছিলেন। এ সময়ের মধ্যে তিনি সরকারের ১৫ লাখ টাকা আত্মসাত করেন বলে অভিযোগ করা হয়।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উজিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহাবুব উর রহমান জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে সুরাইয়া পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply