বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩০ অপরাহ্ন
গলাচিপা প্রতিনিধি॥ গলাচিপায় মুখ চেপে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে কামরুল আকন নামের এক যুবক। পরে খুনের ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করায় এখন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যায় ওই কিশোরী। এ ধর্ষণের কথা কারো কাছে বললে খুন করার ভয় দেখানো হয়। ভয়ে কিশোরীটি এত দিন মুখ খোলেনি। পরে শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ ঘটনায় সোমবার সকালে গলাচিপা থানায় কিশোরী বাদী হয়ে অভিযুক্ত মো. কামরুল আকনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। কিশোরীর মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে গলাচিপা থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম জানান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের ছোটশিবা গ্রামের ষোলো বছরের কিশোরীর বাবা মাকে ছেড়ে নিরুদ্দেশ হওয়ায় মা অন্যজনকে বিয়ে করে চলে যান। তাই ছোটবেলা থেকেই কিশোরীটি মামা মো. সহিদুল আকনের বাড়িতে থাকত। মামা কলা ব্যবসায়ী। অভিযুক্ত কামরুল আকন (৩০) একই এলাকার। দুই সন্তানের জনক। প্রথম ঘটনার দিন ১০ এপ্রিল ২০২০ তারিখ দুপুরে ভাত খেয়ে কিশোরীর মামা সহিদুল কলা কিনতে গ্রামের বাজারে চলে যান। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে অভিযুক্ত কামরুল ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় কিশোরী চিৎকার দিলে মুখ চেপে খুনের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরে শাসিয়ে যায়, ‘এ ধর্ষণের কথা কাউকে বললে খুন করে ফেলবে।’ তখন কিশোরী মান-সম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি। পরে অভিযুক্ত কামরুল সুযোগ পেয়ে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ওই কিশোরীকে বারবার ধর্ষণ করে। দুই মাস আগে কিশোরীর শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে তার মামি বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে তাকে ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলে। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনাটি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তারা আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন। এ বিষয় কিশোরী বলে, ‘আমি আমার সন্তানের বাবার পরিচয় ও ধর্ষণের বিচার চাই।’
গলাচিপা থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, কিশোরী বাদী হয়ে চরকাজল ইউনিয়নের মো. সিদ্দিক আকনের ছেলে মো. কামরুল আকনের নামে সোমবার সকালে একটি মামলা দায়ের করেছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য এর মধ্যে দুইবার অভিযান চালিয়েছি। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply