শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন
এম. কে. রানা॥ সেবা গ্রহণকারী ও সেবা প্রদানকারী উভয়ের মধ্যে সমন্বয় হলে সুন্দর সমাজ উপহার দেয়া সম্ভব। আমরা ভুক্তভোগীদের কত বেশি সেবা দিতে পেরেছি তার উপর নির্ভর করে পুলিশের সাফল্য। সোমবার (৭সেপ্টেম্বর) বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানায় অনুষ্ঠিত ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন বিএমপি কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান (বিপিএম-বার)।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সেবামূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছিল সেই ১৯৭১ সালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে। সেদিন সবার আগে পাকিস্তানী হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল পুলিশ। বিএমপি কমিশনার বলেন, “মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার” এই মন্ত্র বাস্তবায়নে কাজ করছে পুলিশ। এসময় তিনি উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিব বৈশ্বিক মহামারী করোনায় সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ যে ভুমিকা রেখেছে তা শুধু এদেশেই নয়, বহিঃবিশ্বেও প্রশংসিত হয়েছে।
বিএমপি কমিশনার বলেন, মাননীয় আইজিপি’র নির্দেশনায় বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা মানুষের দোড়গোড়ায় সেবা পৌছে দিতে কাজ করছি। ইতিমধ্যে নগরীতে বেশ কয়েকটি বিট পুলিশিং কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় কাউনিয়া থানা এলাকাকে ৫৫টি বিটে ভাগ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে সুশৃঙ্খল সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব। এই পদ্ধতিতে জনগণের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়া যায়। জনগণ যদি তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন তাহলে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদমুক্ত নিরাপদ সমাজ গঠন করা সহজ।
অনুষ্ঠানে ডিসি (নর্থ) খাইরুল আলম বলেন, বিট পুলিশিং আশির্বাদ স্বরূপ। যেখানে অপরাধ নির্মূলে টেকসই ব্যবস্থা থাকবে। কোন বিট অফিসার যদি সেবা না দিয়ে দুর্নীতি করেন তাহলে আমাদেরকে জানাবেন। বিট অফিসারকে তথ্য দিলে দুস্কৃতিকারীদের দমন করা সহজ হবে বলেন তিনি।
কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিমুল করিম বলেন, ওপেন হাউজ ডে জবাবদিহিতার একটি অনুষ্ঠান। এখানে আপনারা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারেন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। আমরা তা বাস্তবায়নে কাজ করছি। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, এসি (ট্রাফিক) মাসুদ রানা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর, থানার অফিসারবৃন্দ, কমিউনিটি পুলিশের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সদস্যবৃন্দ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
Leave a Reply