শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি//
ঝালকাঠির রাজাপুর বাইপাস থেকে কাঁঠালিয়ার আমুয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত দীর্ঘ ৩১ কিলোমিটার সড়কের ৪টি ব্রীজসহ সড়ক নির্মান কাজ শুরু হলেও রাজাপুর উপজেলার পুটিয়াখালি গ্রামের মীরের হাটের উত্তর পাশের দাসের তাল্লুক নামক এলাকার খালের ওপরের ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রীজটিবাদ পড়েছে। এ প্রকল্পে কোটি টাকারও বেশি টাকা ব্যয়ে এ কাজ সম্পন্ন হবে কিন্তু এ ব্রীজটি তখন এ সড়কের গলার কাটা হয়ে দাড়াবে। জানা গেছে, রাস্তা নির্মানের সময় ওই খালটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে এলাকাবাসী কৃষি কাজের পানির জন্য রাস্তা কেটে পাইপের মাধ্যমে পানি চলাচল ব্যবস্থা করেন। পানির ¯্রােতে এক সময় সেই পাইপ ভেসে যায়। তড়িঘড়ি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই খালের দুই পাড়ে কোন গাইড ওয়াল না করে শুধু মাটির ওপরে বেইলি ব্রীজের ষ্ট্রাকচার স্থাপন করেন। ওই সড়কের কোথাও গাইড ওয়াল ছাড়া শুধু মাটির ওপরে এরকম কোন ঝুকিপুর্ন ব্রীজ নাই। ৪টি ব্রীজসহ ওই সড়কের কাজ শুরু হলেও ওই ঝুকিপুর্ন ব্রীজটি বাদ পড়ে এ মেগা প্রকল্প থেকে। স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে চলমান প্রকল্পটির কাজ বাস্তবায়ন হলে এ সড়ক দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল করবে। তখন এ ব্রীজটি যেকোন সময় ভেঙে পড়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটবে। এরকম ঝুকিপূর্ণ ব্রীজবাদ দিয়ে এ প্রকল্প সম্পন্ন করা সঠিক হয়। তাই দ্রুত এ ব্রীজটি ভেঙে নতুন ঢালাই ব্রীজ নির্মান করার দাবি এলাকাবাসীর। ঝালকাঠির সড়ক ও জনপদের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন বলেন, ১শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ঝালকাঠির রাজাপুর বাইপাস থেকে কাঁঠালিয়ার আমুয়া ফেরীঘাট পর্যন্ত দীর্ঘ ৩১ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে ৬ ফুট বৃদ্ধি ও ৪টি ব্রীজসহ নির্মান কাজ ৩০ শে জুন ২০১৮ সালে শুরু হয়েছে। ৩০শে জুন ২০১৯সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সময় বাড়ানো লাগতে পারে। এ বরাদ্ধের মধ্যে পুটিয়াখালি গ্রামের সাতানী খালের ওপর একটি ব্রীজ, সেন্টারের হাট খালের ওপর একটি ব্রীজ, কচুয়া খালের ওপর একটি ব্রীজ ও কাঁঠালিয়া খালের ওপর একটি ব্রীজ নির্মান করা হবে। তবে রাজাপুর উপজেলার পুটিয়াখালি গ্রামের মীরের হাটের উত্তর পাশের দাসের তাল্লুক নামক এলাকার খালের ওপরের ঝুকিপুর্ন বেইলি ব্রীজটি এই বরাদ্ধের মধ্যে নাই। এ ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটি সম্পর্কে উর্ধ্বতনদের অবহিত করা হবে।
Leave a Reply