মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:১২ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় মহিলা ইউপি সদস্যকে লাথি মেরে চেয়ার থেকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে তোলপাড় চলছে। মহিলা ইউপি সদস্য সুফিয়া রাজনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্য (৭, ৮ ও ৯ ওয়ার্ড) সুফিয়া বেগম বলেন, শনিবার দুপুরে ইউনিয়ন অফিসে বসে আমি মাস্টার রোলের নাম লিখছিলাম। তখন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাজনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত এসে কি করছি তা জানতে চান। মাষ্টার রোলের নাম লিখছি বলার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে লাথি মেরে চেয়ার থেকে ফেলে দেন তিনি। এ সময় সামনে একজন শিক্ষা অফিসার ও অন্যান্য লোক উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, পাশে অন্যান্য ইউপি সদস্যরা চাল বিতরণ করছিলেন। সেখানে গিয়ে চেয়ারম্যান তাদের জিজ্ঞাসা করেন কার চাল বিতরণ চলছে। আমার চাল বিতরণ চলছে শোনার সঙ্গে সঙ্গে তিনি অকথ্য ভাষায় আমাকে গালিগালাজ করেন। বিষয়টি জেনে মহিলা ইউপি সদস্য সুফিয়া বেগমের ছেলে ইউনিয়নে আসলে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
মহিলা ইউপি সদস্যের অভিযোগ, ইউনিয়নের চৌকিদার ছাদেক এবং চেয়ারম্যানের লোক তরকিছ তাকে মারধর করে। খবর পেয়ে রাজনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গোপন রাখার শর্তে অপর এক ইউপি সদস্য বলেন, নির্বাচনের পর থেকেই চেয়ারম্যান তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে আসছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মিলন বখত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে তারা আমাকে মারধর করার জন্য পরিকল্পনা করে আসছিলেন সুফিয়া বেগম। ঘটনার দিন অফিসে বসে আমি তালিকা করছিলাম এবং আমার পাশে বসে ওই মহিলা ইউপি সদস্যও তালিকা করছিলেন। হঠাৎ করে সে ও তারা লোকজন আমার ওপর আক্রমণ করে। তখন স্থানীয়রা ওই মহিলাকে কিছু মারধর করে ও আমাকে রক্ষা করে।
রাজনগর থানার ওসি আবুল হাশেম বলেন, এ বিষয়ে মহিলা ইউপি সদস্য একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা পাল বলেন, বিষয়টি শুনেছি তবে পরিষদের কেউ লিখিত অথবা মৌখিকভাবে জানায়নি। অফিসিয়ালভাবে জানালে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
Leave a Reply