রাত পোহালেই ঈদ,হতাশ ব্যবসায়ীরা Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




রাত পোহালেই ঈদ,হতাশ ব্যবসায়ীরা

রাত পোহালেই ঈদ,হতাশ ব্যবসায়ীরা




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক।। রাত পোহালেই ঈদ। অন্যান্য বছর ঈদের আগের দিন রাজধানীর শপিংমল, মার্কেট থাকত ক্রেতাদের সমাগমে মুখরিত। এবার করোনার কারণে অধিকাংশ শপিংমল ও মার্কেট বন্ধ। অল্প কিছু মার্কেট খোলা থাকলেও ক্রেতাদের উপস্থিতি কম। বিক্রি না হওয়ায় হতাশ ব্যবসায়ীরা।

 

রোববার রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় বিভিন্ন পোশাকের শোরুম ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। কিছু মানুষ করোনাভাইরাসের ঝুঁকি নিয়েও শেষ মুহূর্তে ঈদের কেনাকাটা করতে মার্কেটে গেছেন। তবে তারা কেউই সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি খুব একটা মানছেন না। কেউ কেউ শিশুদের নিয়ে গেছেন কেনাকাটা করতে।

 

আজিজ সুপার মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, মার্কেটের প্রবেশ গেটে জীবাণুনাশক ট্যানেল বসানো হয়েছে। কেউ কেউ এই ট্যানেলের ভেতর দিয়ে মার্কেটে প্রবেশ করছেন। অনেকেই ট্যানেলের ভেতর না ঢুকে পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছেন। এই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলছেন, মানুষের মধ্যে কোনো ধরনের সচেতনতা নেই। এতে যারা মার্কেট করতে আসছেন তারা যেমন নিজেদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন, তেমনই আশপাশের লোকদেরও ঝুঁকিতে ফেলছেন।

 

মার্কেটে আসা লাইজু আক্তার বলেন, ‘নতুন পোশাকের জন্য ছোট ভাই কান্না করছিল। তাই ওকে নিয়ে এসেছি। দুপুরের দিকে ভিড় কম থাকে, তাই সকালে এসেছি। ভিড় বাড়ার আগেই কেনাকাটা শেষ করে ফিরে যাব।

 

উত্তরা থেকে আসা মিনহাজ হোসেন বলেন, ‘আমি মার্কেট করতে এই মার্কেটে খুব একটা আসি না। নিউমার্কেটে বেশি যাই। কিন্তু এবার নিউমার্কেট বন্ধ। তাই এখানে এসেছি। একটি পাঞ্জাবি কিনেছি। তবে খুব একটা ভালো লাগেনি। তারপরও এই দিয়েই এবারের ঈদ চলে যাবে।

 

করোনাভাইরাসের মধ্যেও কেনো ঝুঁকি নিয়ে এসেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২ মাস বের হইনি। ঈদে নতুন পোশাক ছাড়া ঈদের আনন্দ থাকে না। তাই এসেছি। তাছাড়া করোনার ভয়ে ঘরে বন্দি হয়ে থাকলে তো জীবন চলবে না।

 

মার্কেটের পোশাক বিক্রেতা নাবিল হোসেন বলেন, ‘আজিজ সুপার মার্কেটে পুরুষদের পোশাক বেশি বিক্রি হয়। ফলে এখানে যে ক্রেতারা আসেন তার বেশিরভাগই পুরুষ।

 

তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে অন্য বছরের তুলনায় এবার আমাদের বিক্রি তুলনামূলক কম। ঈদের বিক্রি সাধারণত রোজার শুরুতেই শুরু হয়। কিন্তু করোনার কারণে এবার তো প্রথম দিকে আমরা দোকানই খুলতে পারিনি। সরকার অনুমোদন দিলে ১০ তারিখ থেকে মার্কেট খোলা হয়। তবে প্রথমদিকে ক্রেতা তেমন একটা ছিল না। গত কয়েক দিন ধরে কিছু ক্রেতা আসছেন।

 

মারুফ নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘সারা বছরের মধ্যে মূল ব্যবসা হয় রোজার ঈদ ও পহেলা বৈশাখে। এবার করোনার কারণে পহেলা বৈশাখে দোকান খুলতে পারিনি। ঈদে দোকান খোলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে অল্প কয়েক দিনের জন্য। কিন্তু করোনার কারণে এবার অন্য বছরের তুলনায় ক্রেতা কম। আর নিয়ম অনুযায়ী বিকেল ৪ টার মধ্যে দোকান বন্ধ করতে হয়। এই অল্প সময়ে আসলে তেমন বিক্রি করা যায় না।

 

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD