বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৫২ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বরিশালে আম্ফানের প্রভাব কেটে গেছে। বৃহস্পতিবার (২১ মে) বিকেলে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় আট কিলোমিটারে নেমে এসেছে। তবে বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যার পর থেকে রাতভর ঝড়ো বৃষ্টি হয়েছে। তখন বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার।
চব্বিশ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ৫২ দশমিক ৮ মিলিমিটার। স্থানীয় নদী-বন্দরের জন্য ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। এদিকে ঝড়ের প্রভাবে বরিশাল জেলায় ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা নিরূপসের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান।
তিনি জানান, কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপদসীমার নিচে ১ দশমিক ৯২ সেন্টিমিটারে রয়েছে। দমকা হাওয়ায় কোনো কোনো স্থানে গাছপালা এবং কাঁচা ঘরের ক্ষতি হয়েছে। তবে পানি বাড়ায় নিম্ন এলাকায় কিছু কিছু মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। মাঠে থাকা বেশির ভাগ বোরো ধান আগাম কেটে ফেলায় ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ কম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ক্ষতির পরিমাণ দ্রুত নির্ণয় করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছি। সে অনুযায়ী আম্ফানের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়া হবে।
এদিকে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ১৯ হাজার ২৪টি মাছের খামার, ঘের ও পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৎস্য অফিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আজিজুল হক।
তিনি জানান, ক্ষয়ক্ষতির সঠিত হিসেব নিরূপনে আরও সময় লাগবে। তবে প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে বরিশাল বিভাগে ১৯ হাজার ২৪টি মাছের খামার, ঘের ও পুকুর আংশিক এবং পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ১৮ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Leave a Reply