শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ক্যান্সারে আক্রান্ত যশোরের সাংবাদিক কবি ফখরে আলম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি ছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।
কালের কণ্ঠের যশোর কার্যালয়ের আলোকচিত্রী ফিরোজ গাজী জানান, দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার আক্রান্ত ফখরে আলম বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সকাল ৯টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা তাকে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সালাহউদ্দীন স্বপন মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান বলে চিকিৎসক সালাহউদ্দীন জানিয়েছেন।
ফখরে আলম যশোর শহরের চাঁচড়া ডালমিল এলাকায় নিজের বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকতেন। তিনি মা, স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। মৃত্যুর আগে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নামাজের পর যশোর জিলা স্কুল মাঠে জানাজা শেষে চাঁচড়ায় পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে তাকে।
কবিতা, সাংবাদিকতা, মুক্তিযুদ্ধ প্রভৃতি বিষয়ে ফখরে আলম ৩৪টি বই লিখেছেন। তার মধ্যে ‘রিপোর্টারের ডায়েরি’, ‘হাতের মুঠোয় সাংবাদিকতা’, ‘ডাকে প্রেম তুষার চুম্বন’, ‘যশোরের গণহত্যা’, ‘তুই কনেরে পাতাসী’, ‘খুলে ফেলি নক্ষত্রের ছিপি’, ‘এ আমায় কনে নিয়ে আলি’, ‘অন্ধকার চুর্ণ করি’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
১৯৬১ সালের ২১ জুন জন্ম নেওয়া ফখরে আলম বৃদ্ধা মা, স্ত্রী, দুই ছেলে-মেয়েসহ অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন। যশোর শহরতলীর চাঁচড়া এলাকার বাসিন্দা তার বাবা মরহুম শামসুল হুদা ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা।
১৯৮৫ সালে সাপ্তাহিক রোববার পত্রিকার প্রতিবেদক হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন ফখরে আলম। এরপর দৈনিক আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ, বাংলাবাজার পত্রিকা, মানবজমিন, জনকণ্ঠ, আমাদের সময়, যায়যায়দিন পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। সর্বশেষ তিনি কালের কন্ঠে বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
কবি হিসেবেও তার ব্যাপক পরিচিতি ছিল। একসময় যশোর সাহিত্য পরিষদেও সক্রিয় ছিলেন তিনি।
ফখরে আলম সাংবাদিকতা জীবনে মোনাজাত উদ্দিন স্মৃতি পুরস্কার, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের বজলুর রহমান স্মৃতি পদক, এফপিএবি পুরস্কার, মধুসূদন একাডেমি পুরস্কার, এফইজেবি পুরস্কার, টিআইবি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কারসহ নানা পদক, পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।
Leave a Reply