শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ অপরাহ্ন
আরিফ বিল্লাহ নাছিম,কলাপাড়া (কুয়াকাটা) প্রতিনিধি: কিছুদিন আগে নবগঠিত মহিপুর থানায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ শেষে হত্যার পর এবার নতুন করে কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজ সংলগ্ন বাড়িতে ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে হত্যার পর লাশ গুমের ঘটনা ঘটেছে। নিহত ছাত্রীর বেডরুম থেকে রক্ত মাখা দু’টি ছুরি ও তার ব্যবহৃত পায়ের নুপুর এবং দুই টুকরো মাংস ছাড়া জীবিত বা মৃত ওই ছাত্রীর কোন হদিস বের করতে পারছে না কেউ। ঘরের বেড়াসহ বিভিন্ন স্থানে রক্তে ভেসে গেলেও প্রকৃত ঘটনা কি হয়েছে পরিবারের কারও জানা নেই। এমন লোম হর্ষক ও রহস্যজন ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ভোর রাতের দিকে।
মহিপুর থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতের খাবার খেয়ে মৃত বাবুল মল্লিকের স্ত্রী নুরজাহান (৪০) তার দুই সন্তান শিশুপুত্র হামিম (৩) ও মেয়ে মহিপুর হাই স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ম (১৫) এক খাটে ঘুমায়। ঘরের দোতলায় নুরজাহানের বড় মেয়ে রেশমা (১৯) তার স্বামী মাঈনুলকে নিয়ে ছিল। রাত ৩ টার দিকে রেশমা প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে বাইরে নেমে ঘরে ওঠার সময়ও বোন মরিয়মের সাথে কথা বলেছে। এরপর সকালে মা নুরজাহান বেগমের চিৎকারে ঘরের সবার ঘুম ভাঙ্গে মরিয়ম কে না পাওয়া এবং ঘরের বিভিন্ন জায়গা রক্ত দেখে। মহিপুর থানা পুলিশ খবর পেয়ে বুধবার ভোর সাড়ে ৫টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, রক্ত মাখা দু’টি ছুরি ও মরিয়মের ব্যবহৃত পায়ের নুপুর এবং দুই টুকরো মাংস ঘরের মেজেতে পাওয়া গেছে। জীবিত বা মৃত কোনভাবেই মেয়েটির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। ঘরের বেড়াসহ বিভিন্ন স্থানে রক্তে ভেসে গেলেও পরিবারের কেউ টের না পাওয়ার বিষয়টিও রহস্যজনক। তবে রক্ত দেখে মনে হচ্ছে হত্যাকান্ডের টনা ঘটেছে। এ ঘটনা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজনের মতে, মরিয়মকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে লাশ গুম করেছে। সব মিলিয়ে স্থানীয়দের মনে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
Leave a Reply