বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩৫ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ হাসপাতালে স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে ডাক্তার দেখানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান স্বামী নোমান মিয়া। ডাক্তার দেখানো শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান নোমান। এতে গুরুতর আহত হয় নোমানের স্ত্রী জেসমিন। আহত জেসমিন টানা ছয়দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর মৃত্যুকে বরন করে নেয়।
প্রথমে বাবা, তারপর মা। বাবা-মা এর এমন মৃত্যুতে অসহায় এখন জমজ শিশুরা। তাদের অসহায় চাহনি অনেককে আপ্লুত করছে। নূরপুর ইউপির চেয়ারম্যান মো. মুখলিছ মিয়া জানান, নোমানের পর তার স্ত্রী জেসমিনও মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ নূরপুর এলাকায় তাদের বহনকারী অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয় বাস। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন নোমান। ওই সময় স্ত্রীসহ আরো তিনজন আহত হন। এর মধ্যে জেসমিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টানা ছয়দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে মারা যান জেসমিন।
নোমান-জেসমিন দম্পতির যমজ মেয়ে রয়েছে। তাদের বয়স দেড় বছর। শিশুরা বাবা-মাকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। সব সময় অসহায় দৃষ্টিতে মানুষের দিকে তাকিয়ে থাকে তারা। নিহত দম্পতির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় হৃদয়বিদারক দৃশ্য। এ দৃশ্য দেখে অনেকে আপ্লুত হয়ে পড়ছেন। আর স্বজনরা তাদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। দুই শিশু এখন দাদা-দাদির জিম্মায় রয়েছে।
Leave a Reply