সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ ঝালকাঠির রাজাপুরের পুটিয়াখালি বাজারে ডিশ ব্যবসায়ী ওবায়দুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা, হাত-পা কুপিয়ে জখমের ঘটনায় মামলা করে আসামীদের অব্যাহত হুমকিতে বিপাকে পড়েছেন কৈখালীর উত্তর চড়াইল গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী মোসাঃ নুরজাহান বেগম (৬০)। এ ঘটনায় রাজাপুর থানায় ১৬ মার্চ বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার এএসআই রাজাপুর উপজেলার সত্যনগর গ্রামের ইদ্রিস মৃধার ছেলে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী অপু মৃধাসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ্যপূর্বক আরও ২/৩ জনের নামে মামলা করলেও ৪দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোন আসামীকে গ্রেফতার করেনি বলে রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছেন। বর্তমানে আহত ডিশ ব্যবসায়ী ওবায়দুল বরিশাল শেবাচিমে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন এবং তার পরিবারের লোকজনরা নানা ধরনের হুমকিতে অসহায় হয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগের নুরজাহান বেগম জানান, গত ১৫ মার্চ দুপুরে পুটিয়াখালি বাজারের একটি সেলুনে চুল কাটছিলেন ডিস ব্যবসায়ী ছেলে ওবায়দুল।
এ সময় পূর্ব বিরোধ ও মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ার জের ধরে বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার এএসআই রাজাপুর উপজেলার সত্যনগর গ্রামের ইদ্রিস মৃধার ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী অপু মৃধা ও তার সহযোগী আঙ্গারিয়া গ্রামের সত্তার তালুকদারের ছেলে হৃদয় তালুকদার, আলগি গ্রামের আউয়াল হাওলাদারের ছেলে নাঈমুল ও আঙ্গারিয়া গ্রামের জব্বার ব্যাপারির ছেলে নাঈমসহ কয়েক যুবক মিলে ওবায়দুলকে দেশীয় দারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা, হাত ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। পরে ১৬ মার্চ রাতে রাজাপুর থানায় ওবায়দুলের মা নুর জাহান বেগম মামলা (নং০৮/৪৫) করেন। মামলা করার পর পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার না করায় বরিশাল হাসপাতালে গিয়ে ১ নং আসামি অপু মৃধার পিতা বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার এএসআই ইদ্রিস মৃধা, বেপরোয়া আসামি ও আসামীদের স্বজনসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিরা সন্দেহ জনকভাবে ঘোরাফেরা করাসহ নানাভাবে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার এ এস আই ইদ্রিস মৃধা হুমকি দিয়ে বলেন য়ে, মামলা তুলে না নিলে দেশের বিভিন্ন থানায় মামলা দিয়ে বাড়ী ঘর ছাড়া করা হবে। এসব অভিযোগের বিষয়ে বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার এএসআই ইদ্রিস জানান, তাদের কোন হুমকি দেয়া হয়নি, সব ভূয়া। কাউকে মারার সার্পোট তিনি কোনদিনই করেনি।
তিনি তার ছেলের পক্ষ কোনদিনই নেননি বলেও জানান। তাকে পারিবারিকভাবেই কঠোরভাবে শাসন করা হচ্ছে। এসব বিষয় পুলিশকে সার্বোক্ষণিক জানালে কোন কর্ণপাত না করে আসামি অপু মৃধা পুলিশের পুত্র হওয়ায় আসামীদের দ¦ারা আর্থিক ভাবে লাভবান হয়ে আসামীদের পক্ষ নিয়েছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে রাজাপুর থানার ওসি জাহিদ হোসেন জানান, ঘটনার পরই আসামিরা এলাকা ছাড়া, তাদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে। তবে এ মামলার কাউকেই গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply