সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন
মোঃ রাজিব তালুকদার॥ ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার ১নং চেঁচরীরামপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চেঁচরী গ্রামের সংখ্যালঘুর জমি দখল ও সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ করেছেন অর্চনা রানী ও তার পরিবার। অর্চনা রানী অভিযোগ করে বলেন আমরা আমাদের এই জমিতে বিগত শত বছর যাবৎ ঘর-বাড়ীসহ ভোগ দখলে আছি। ১৫ দিন পূর্বে স্থানীয় কিছু ভূমি দস্যু মিজান ফরাজী, পিতাঃ সোবহান ফরাজী, সোহরাব মোল্লা, পিতাঃ মৃত মোসলেম মোল্লা, রহমান মোল্লা, পিতাঃ রশিদ মোল্লা, এছাড়াও তার দলবল নিয়ে আমার জমিতে টিন সেটের ঘর তুলেন ও আমার জমির সামনে সরকারি জমির প্রায় ১৩০টি বিভিন্ন গাছ কেটে নিয়া যায়। এর প্রতিবাদ করিলে আমাকে ও আমার স্বপরিবার মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এমনকি রাতে যে কোন সময় আমার বসতঘর আগুন দিয়া ভিটা ছাড়া করতে পারে এবং মিজান আরও বলেন জমি আমাদের ডিসিয়ার ভুক্ত, তবে জমি তোমাদের দখলে, জমি তোমাদের কাছে বিক্রি করব এ কথা বলে দুই লক্ষ টাকার বায়না চুক্তিপত্র করে অসহায় পরিবারের কাছ দুই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়, বায়না চুক্তির একদিন পরেই আমাদের জমিতেই জোর পূর্বক তিনটি পরিবারকে ঘর তুলে দেন এবং ঐ জমিতে থাকা গাছও কেটে নেন। জানা যায় ভুলবসত ডিসিয়ার ভুক্ত হওয়ায় রেকর্ডীয় মালিক অর্চনা রানীর শশুর গোপাল কৃষ্ণ হালদার ১৩/০৭/১৯৯৩ সালে বাদী হয়ে ঝালকাঠি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার ২৬ বছর পরে ০১/০২/২০১৭ ইং তারিখ আপিলে আদালত থেকে রায় পায়।
এ বিষয় ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান সন্ত্রাসী মিজান ও তার দলবল নিয়ে ঐ সংখ্যালুদের জমি দখলের প্রতারনা করে দুই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় ও সরকারি গাছ কেটে নেয়, উল্লেখ্য বিষয়টি কাঠালিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায়কে অবগত করেছি। আগামী ০৫ মার্চ বিষয়টি তদন্ত করবেন বলে আশ্বাস্ত করেন। আত্মপক্ষ মোঃ মিজান ফরাজী, পিতাঃ সোবহান ফরাজী তার মুঠোফোনে ০১৩১৫৬৪৯৮৭০ আমার ফুফুর সম্পত্তি আমি দখল করেছি।
Leave a Reply