শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৩২ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ পুলিশের এএসপি পরিচয়ে ফেসবুকে দশম শ্রেণির ছাত্রীর সাথে প্রেম। তারপর প্রেমের সূত্র ধরে সিলেট থেকে ওই ছাত্রীকে বরিশালের আবাসিক হোটেলে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় বরিশালের এয়ারপোর্ট থানায় এএসপি পরিচয় দেয়া শামসুল হক রাসেলের নামে মামলা করেছে নির্যাতিতা ওই তরুণী। ওই তরুণী সিলেটের একটি স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বরিশালের পুলিশ কমিশনার বলছেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে নেয়া হচ্ছে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা। তবে ফেসবুকে পরিচয় কিংবা সম্পর্কের ক্ষেত্রে তরুণ-তরুণীদের সাবধানতা অবলম্বন করার দরকার বলে মনে করেন তিনি।
ওই তরুণী জানান, ২০১৮ সালের শুরুর দিকে ফেসবুকের মাধ্যমে শামসুল হক রাসেল পুলিশের এএসপি পরিচয় দিয়ে তার সাথে যোগাযোগ করে। এর সূত্র ধরে প্রায়ই ফেসবুকে এবং মোবাইলে কথাবার্তা চলে তাদের। এর এক পর্যায়ে ৮ মাসের ব্যবধানে ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মাসে ওই তরুণীকে সিলেট থেকে বিয়ের কথা বলে বরিশালে নিয়ে আসে রাসেল।
এরপর বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকার আবাসিক ‘হোটেল শরীফে’ রেখে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগ করা হয়। এভাবে একাধিকবার বরিশালে যাতায়াতের পর ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি রাসেলকে জানালে সে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এ অবস্থায় ওই তরুণী রাসেলকে খুঁজে বের করতে গত ২৭ জানুয়ারি বরিশালের পুলিশ কমিশনারের কাছে যায় এবং রাসেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে এ ঘটনায় গত ২৮ জানুয়ারি নগরীর এয়ারপোর্ট থানায় মামলা রুজু হয়। পুলিশ তরুণীকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে সেভ হোমে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিজের ভুল বুঝতে পেরে পরিবারের কাছে ফিরতে চায় তরুণী।
Leave a Reply