গর্ভবতী নারীকে পানির বদলে ভুলে দাহ্য পদার্থ খাওয়ালেন হাসপাতালের আয়া Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




গর্ভবতী নারীকে পানির বদলে ভুলে দাহ্য পদার্থ খাওয়ালেন হাসপাতালের আয়া

গর্ভবতী নারীকে পানির বদলে ভুলে দাহ্য পদার্থ খাওয়ালেন হাসপাতালের আয়া




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥  পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধ সেবনের জন্য গর্ভবতী নারীর মুখে পানির বদলে ভুলে দাহ্য পদার্থ (অ্যাসিড জাতীয়) ঢেলে দেওয়া হয়েছে। গর্ভবতী ওই নারীর নাম নিপা হাওলাদার।শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই নারীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম জানান, নিপাকে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থা তেমন গুরুতর নয়। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগবে।নিপা হাওলাদারের বাড়ি ঝালকাঠি জেলায়। তিনি নির্মাণ শ্রমিক স্বামীর সঙ্গে পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরসভার বাদুরতলা এলাকায় থাকেন।

স্বামী পুলক হাওলাদার জানান, শারীরিক সমস্যার কারণে এম.আর করাতে নিপাকে শুক্রবার সকালে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। এম.আর শেষে সেবিকা সালমা বেগম নিপাকে ওষুধ খাওয়াতে বলেন। এ সময় পানি চাওয়া হলে একজন আয়া একটি পানির বোতল এগিয়ে দেন। পাশাপাশি রাখা দুটি মাম পানির বোতলের একটিতে অ্যাসিড জাতীয় দ্রব্য রাখা ছিল। ভুলে ওই বোতলটিই দেন আয়া। অ্যাসিড জাতীয় দ্রব্য নিপার মুখে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্বালাপোড়া শুরু হলে তিনি মুখ থেকে তা ফেলে দেন। পরে নিপার চিৎকারে চিকিৎসকরা ছুটে এসে তাকে দ্রুত চিকিৎসা দেন। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পুলকের সহকর্মী আহসান হাবিব জানান, নিপা যখন তরল দাহ্য পদার্থ মুখ থেকে বাহিরে ফেলেন তখন সেই পানি সেবিকা সালমার মুখেও গিয়ে পড়ে। এতে তিনিও আহত হন। তবে তার অবস্থা নিপার মতো খারাপ নয়। নিপার শাশুড়ি কানন হাওলাদার বলেন, পাশাপাশি রাখা দুটি বোতলের কোনটিতে দাহ্য পদার্থ ছিল তা বুঝার কোনো উপায় ছিল না। হাসপাতালের প্রয়োজনেই দাহ্য পদার্থ রাখা হয়েছিল বলে সেবিকা সালমা রোগীর স্বজনদের জানিয়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD