জাল টাকার অজুহাতে কলাপাড়ায় ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধকে নির্যাতন Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




জাল টাকার অজুহাতে কলাপাড়ায় ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধকে নির্যাতন

জাল টাকার অজুহাতে কলাপাড়ায় ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধকে নির্যাতন




কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।।  জাল টাকার অজুহাত সৃষ্টি করে ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ ছিদ্দিক মাতুব্বরকে বেধড়ক মারধরসহ গোপনাঙ্গে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি পুলিশে দেয়ার কথা বলে তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে শেষমেষ ৩৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।

তিনটি অলিখিত স্ট্যাম্পে সই রেখে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য ছিদ্দিক মাতুব্বরকে কিছুদিনের জন্য এলাকা ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের বানাতিবাজারে জলিলের হোটেলের পেছনে নিয়ে ২ ফেব্রুয়ারি ছিদ্দিক মাতুব্বরকে এ নির্যাতন করা হয়। একই এলাকার চারিপাড়া গ্রামের নাসির হাওলাদারের ছেলে প্রতিবন্ধী মিজানুর, বানাতির ওয়াজেদ হাওলাদারের ছেলে মিজানুর মিজু ও তাদের এক সহযোগী নয়ন তিনজনে মিলে এ মানুষটিকে নির্দয় নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভ’ক্তোভোগীর পরিবারসহ প্রতক্ষ্যদর্শী এলাকাবাসী।

জানা গেছে, ছিদ্দিক মাতুব্বরের কাছে দশ হাজার পাঁচ শ’ টাকা পেত প্রতিবন্ধী মিজানুর। ছিদ্দিক মাতুব্বর ওই টাকা ২৯ জানুয়ারি শোধ দেয়। প্রতিবন্ধী মিজান আবার ওই টাকা দেয় মিজানুর মিজুকে। তিনদিন পরে মিজু বিদ্যুৎ বিল দিতে গেলে বলে ওই টাকা জাল। এ জন্য মিজু প্রতিবন্ধী মিজানকে দায়ী না করে ছিদ্দিক মাতুব্বরকে দায়ী করে ধরে এনে নির্যাতন চালায়।

বিষয়টি গণমাধ্যমে জানাজানি হলে প্রতিবন্ধী মিজান ও মিজানুর ছিদ্দিক মাতুব্বরকে স্ট্যাম্পসহ ২০ হাজার টাকা ফেরত দেয়।
এলাকার অসংখ্য মানুষ জানান, প্রতিবন্ধী মিজান নিজেকে থানা-পুলিশের সোর্স পরিচয়ে এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে হয়রানি করে আসছে। বাড়ীতে জুয়ার বোর্ড টালায়। ইয়াবা ট্যাবলেট রেখে ধরিয়ে দেয়ার কাজ করে আসছে। তার কাছে মানুষ অনেকটা জিম্মি হয়ে পড়েছে।

এ তিনজনের চক্র অধিগ্রহণের জন্য আবেদন করা কৃষক-জেলে পরিবারের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী জেলা অধিগ্রহণ শাখায় আপত্তি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়ার কাজ করে। পরে আপত্তির অভিযোগ টাকার বিনিময় প্রত্যাহার করে নেয়্। এমন বহু অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযুক্ত নয়ন হাওলাদার নগদ টাকাসহ স্ট্যাম্প রাখার কথা স্বীকার করে বলেন, সেসব প্রতিবন্ধী মিজানুরের কাছে রয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রতিবন্ধী মিজানুর জানান, বিষয়টি সম্পুর্ন বানোয়াট, মিথ্যা। ছিদ্দিক মাতুব্বরের কাছে তার ভাতিজা টাকা পেত। এজন্য একটি কাগজ দেয়া ছিল ছিদ্দিক মাতুব্বের। তা আদায় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। তখন টাকা নিয়ে ওই কাগজ দেয়ার জন্য বলে দিয়েছি। অপর অভিযুক্ত মিজানুর মিজু জানান, তিনি অসুস্থ্য স্ত্রীকে নিয়ে পটুয়াখালীতে রয়েছেন। পরে কথা বলবেন।

লালুয়া ইউপি চেয়রম্যান তপন বিশ্বাস বলেন, ঘটনাটি শোনার পর সিদ্দিক মাতুব্বরকে আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, মিজানুর নামে কোন সোর্স নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD