বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৮ অপরাহ্ন
আমজাদ হোসেন, বাউফল প্রতিনিধি॥ রাস্তার মাটি সরে পাশের ক্ষেত ও নালার সঙ্গে মিশে গেছে। দেখলে বোঝার কোনো উপায় নেই এটি খাল, না রাস্তা। সড়কটি দিয়ে কোনো প্রকার যান চলাচল করতে পারে না। এ কারণে চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ পাঁচটি গ্রামের হাজারো মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।
এমন চিত্র পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের হিজবুল্লাহ বাজার থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম রাজাপুর ঈদগাহ মাঠ হয়ে জাকেরাবাদ মো. হোসেন গাজি বাড়ি পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কের।
সরেজমিনে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১০-১২ বছর আগে সরকারিভাবে মাটির রাস্তা নির্মাণ করা হয়। এরপরে আর মেরামত করা হয়নি। এ কারণে মাটি সরে গিয়ে খেতের সঙ্গে মিশে গেছে। তবে কোন দপ্তর রাস্তা নির্মাণ করেছে তা কেউ বলতে পারেন না।
দেখা যায়, সড়কটির আবদুল করিম মৃধা বাড়ির সামনের বিশাল অংশে পানি জমে আছে।
মো. আব্বাস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বলেন, বর্ষার পুরো মৌসুম এভাবেই পানিতে তলিয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন,বৃষ্টি হলেই সড়কটির নূরুল ইসলাম খান বাড়ির সামনে ও দক্ষিন-পশ্চিম ঈদগাহ মাঠ-সংলগ্ন এলাকা তলিয়ে যায়।তখন দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়।
সড়কটি দিয়ে তিনটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ পাঙ্গাশিয়া, সিটকা,জাকেরাবাদ, আনারকলি, পাতিলা পাড়া গ্রামের হাজারো মানুষ এই সড়কটি দিয়ে যাতায়েত করে ।
মো. দলিল উদ্দিন মৃধা (৬০) নামে এক মুদিমনোহরি ব্যবসায়ী বলেন,‘মাটি সরে যাওয়ায় গ্রীষ্মকালেও সড়কটি দিয়ে যান চলাচল করতে পারে না। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে সড়কটির বিভিন্ন জায়গায় পানিতে তলিয়ে থাকে। এ কারণে মাথায় বহন করে মালামাল আনতে হয়।’
কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মো. নেছার উদ্দিন সিকদার বলেন,‘আসলেই সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করতে ভুক্তভোগিদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। এ কারণে সড়কটি পাকাকরণের পরিকল্পনা রয়েছে। উপজেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হবে। আশা করি কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার বলেন,‘উন্নয়ন সভায় সড়কটির বিষয়ে উপস্থাপিত হলে মানুষের দুর্ভেঅগ লাগবের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Leave a Reply