পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, পা ধরে ক্ষমা চেয়েছেন প্রধান শিক্ষক Latest Update News of Bangladesh

বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪২ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, পা ধরে ক্ষমা চেয়েছেন প্রধান শিক্ষক

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, পা ধরে ক্ষমা চেয়েছেন প্রধান শিক্ষক




পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥  তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানির পর অভিভাবকের পা ধরে ক্ষমা চেয়েছেন প্রধান শিক্ষক। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার বালিয়াতলী ইউনিয়নের কাঙ্কুনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার ঘটনাটি প্রকাশ হলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় ওই এলাকার মানুষের মধ্যে।

অভিযোগ উঠেছে- তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রীকে একা অফিস রুমে ডেকে যৌন হয়রানি করেন কাঙ্কুনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ মোহাম্মদ ইছা।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে- প্রথমে ওই ছাত্রী তার এক বোনকে বিষয়টি জানায়। পরে ওই বোন শিশুর পিতাকে জানালে তিনি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কাছে অভিযোগ করেন।

এর পর মুহূর্তের মধ্যে এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে অভিভাবক ও স্থানীয় মানুষ। এদিকে ওই প্রধান শিক্ষকের পক্ষে একটি চক্র তাকে বাঁচাতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে মাঠে নামে মিডিয়াসহ এলাকার প্রভাবশালীদের মুখ বন্ধ করতে। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পা ধরে মাফ চায় ওই প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. এনামুল হক জানান, প্রধান শিক্ষককে ডেকে তিনি জিজ্ঞেস করলে তিনি (প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ) পা ধরে ক্ষমা চায়। এমনকি ছাত্রীর পিতার পা জড়িয়ে ধরে ক্ষমা চান প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ মোহাম্মদ ইছা।

ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, তারা (শিক্ষকরা) আমাদের সন্তানের পিতার মতো। তার মেয়ে দুই দিন স্কুলে যায়নি। এ কারণে তার মেয়েকে একা রুমে ডেকে যৌন হয়রানি করে।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ মোহাম্মদ ইছা ছাত্রীকে যৌন হয়রানির কথা অস্বীকার করে বলেন, এটি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আর পা ধরে মাপ চাওয়ার কথাও অস্বীকার করেন তিনি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবুল বাশার বরিশালটাইমসকে জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তাকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। তিনি বর্তমানে পটুয়াখালী থাকায় মঙ্গলবার (আজ) সরেজমিনে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) অনুপ দাশ জানান, শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলবেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD