শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন
মো. সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া (বরিশাল) থেকে : ১৯৮৫ সালে এমপিও ভুক্ত হওয়া বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের নলশ্রী জালিছ মাহমুদিয়া দাখিল মাদরাসায় ভবণ সংকটে পাঠদান ব্যহত হচ্ছে বলে জানাগেছে। বর্তমানে জরাজীর্ণ কাঠের তৈরি টিনসেটের যে ক্লাস রুমগুলোতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানো হচ্ছে তার অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। বৃষ্টি এলেই তাই বাধ্য হয়ে ছুঁটির ঘন্টা বাঁঝাতে হয়। তার ওপরে আবার মাদরাসায় আসার পথগুলো কাঁচা-মাটির হওয়ায় শিক্ষার্থী সহ শিক্ষকদের আরো বেশি দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
১৯৭৮ সালে মূল মাদরাসাটি যেখানে স্থাপিত করা হয়েছিলো বর্তমানে সেখানে কেবলই অথৈই পানি। বানারীপাড়া উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে চলা ভয়াল সন্ধ্যা নদী ২০০৬ সালে মাদরাসাটির ৭৫ শতাংশ সম্পত্তি তার গর্ভে গ্রাস করে ফেলে। পরে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকরা মিলে নলশ্রী গ্রামের অদুরে মাদরাসাটি পুনরায় নতুন করে গড়ে তোলেন। মাদরাসাটি নদী ভর্গে বিলিন হবার পূর্বে ১তলা পাকা ভবণ বিক্রি করে ও শিক্ষকদের বেতন থেকে টাকা জমিয়ে নতুন করে নলশ্রী গ্রামে জমি ক্রয় করে কোনমতে কাঠ ও টিন দিয়ে অবকাঠামো তৈরি করে মাদরাসাটি পূর্ণপ্রতিষ্ঠা করা হয়।
মাদরাসার সুপার মো. আব্দুর রহিম জানান ১৩ বছর পর্যন্ত নতুন স্থানে মাদরাসার কাঠের তৈরি অবকাঠামোগুলো রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে এখন ক্লাসের অনোপযোগী হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি এলেই ক্লাসগুলো থেকে পানি পড়ে। ফলে বাধ্য হয়েই ছুঁটির ঘন্টা বাঁঝাতে হয়। মাদরাসার আসা-যাওয়ার রাস্তাগুলো কাঁচা-মাটির হওয়ায় শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের অনেক দূর্ভোগ পোহাতে হয়। মাদরাসায় বর্তমানে ২ শাতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। এবতেদায়ী থেকে দাখিল প্রতিটি ক্লাসেরই ফলাফল অত্যন্ত ভালো বলেও জানান তিনি । তবে ভবণ সংকট থাকায়,মাদরাসার বর্তমান অবকাঠামোর ক্লাসগুলো পাঠদান উপযোগী না হওয়ায়, সর্বক্ষেত্রে শতভাগ ফলাফলের উপযোগী শিক্ষা তারা শিক্ষার্থীদের দিতে পারছেন না।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আ. মন্নান মিয়াও একই হতাশা ব্যক্ত করে জানান, অচিরেই একটি পাকা ভবণ ও রাস্তাগুলো পাকা করা না হলে মাদরাসাটি অস্থিত্ব সংকটে পড়তে পারে।
Leave a Reply