বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এর জের ধরে দুই নেতার সমর্থক আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এলাকায় পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ ও একটি টিকেট কাউন্টার ভাংচুর করে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুর ৩টায় বাবুগঞ্জ উপজেলার এয়ারপোর্ট থানাধীন রহমতপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (মন্ত্রী মর্যদা) আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি’র হস্থক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার বরিশাল জেলা পরিষদের বাবুগঞ্জ উপজেলার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী রিফাত জাহান তাপসি ২৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। আর ৮০ ভোটের মধ্যে ৩৫ ভোটে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাইনুল হোসেন পারভেজ মৃধা।
ভোট গণনার সময় বাবুগঞ্জ কলেজ কেন্দ্রের পাশে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী এমদাদুল হক দুলাল ও সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার খালেদ হোসেন স্বপন সহ অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।
এসময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী রিফাত জাহান তাপসি’র পরাজয়ের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী এমদাদুল হক দুলালকে দায়ি করেন সাবেক চেয়ারম্যান খালেদ হোসেন স্বপন। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান তাপসির পরাজয়ের কারন স্বপন ও তার পরিবারের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বলে মন্তব্য করে।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির সৃষ্টির হয়। এক পর্যায় দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে উপস্থিত দলের অন্যান্য নেতারা পরিস্থিতি শান্ত করে। এদিকে খালেদ হোসেন স্বপনের বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী এমদাদুল হক দুলালসহ তার নেতা কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে থেকে শুরু করে বেইলি ব্রিজ পর্যন্ত জুতা মিছিল করেন। যার একটি জুতা হাতে মিছিলের ভিডিও রয়েছে,এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তিতে রহমতপুর এলাকায় পুনরায় বিক্ষোভ এবং ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার খালেদ হোসেন স্বপন বলেন, ঘটনার পরে আমি আমার লোকজন নিয়ে বাসায় চলে যাই। কিন্তু দুলাল তার লোকজন নিয়ে রহমতপুর এলাকায় বিক্ষোভ করে। এসময় তারা সেখানে আমার সমর্থক মিলন বাসের টিকিট কাউন্টার ভাংচুর করে।
খালেদ হোসেন স্বপন বলেন, তাপসি আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলো। কিন্তু দুলাল পরিকল্পিতভাবে তাকে পরাজিত করে বিদ্রোহী প্রার্থীকে নির্বাচিত করেছে। তার এলাকার লোকেরা তাপসিকে ভোট দেয়নি বলেই সে হতে পারেনি।
এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এমদাদুল হক দুলাল বলেন, সরদার খালেদ হোসেন স্বপন একজন চিহ্নিত ও তালিকাভুক্ত সর্বহারা নেতা। স্বপন ও তার পরিবারের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারনেই তাদের নিজ এলাকা আগরপুর ও দেহেরগতি এলাকার জণগন তাদের বর্জন করেছে। তাপসিকে তারা কেউ চায়না বলেই ভোট দেয়নি।
তিনি দাবি করে বলেন, আমার কোন লোক বিক্ষোভ বা কোন ভাংচুর করেনি। খালেদ হোসেন স্বপনের অন্যতম সহযোগী মিলনও চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা মিলনের কাউন্টার ভাংচুর করেছে। তাছাড়া আমি আমার রাজনৈতিক অভিভাবকের কাছে বলেছি, সন্ত্রাসীর সাথে এক সাথে আর রাজনীতি করা সম্ভব নয়। তিনিই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন।
Leave a Reply