শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সদর উপজেলার চরকাউয়া বাস মালিক সমিতির সভাপতি মনিরুল ইসলাম ছবি’র খাম খেয়ালীতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে যাত্রী সাধারণ। প্রতি মাসে ২০০ টাকা করে চাঁদা দিয়েও শান্তিতে গাড়ি চালাতে পারছেন না চালকরা। এমনকি শ্রমিকদেও অভিযোগ আমলে না নেওয়ায় চরকাউয়া বাসস্ট্যা- সড়কটিতে হাজারো খানাখন্দেও সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা করছে ভুক্তভোগীরা।
আর এসব অভিযোগ সম্পর্কে কথা বললে অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম ছবি কোন আশার বানী না শোনালেও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করতে দ্বিধাবোধ করেননি। অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ছবি নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকায় এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পরিবহন সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই তার। সূত্রে জানা যায়, বরিশাল সদর উপজেলার গুরুত্বপূর্ন বরিশাল-ভোলা সহ পাঁচ রুটের চরকাউয়া খেয়াঘাট বাসষ্টান্ড চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার ও মেরামতের অভাবে বাসষ্টান্ডে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। কোন বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এ বাসষ্টান্ড দিয়ে বাধ্য হয়ে প্রতিনিয়ত যাত্রা করছে পূর্বাঞ্চলের ৫০ উপজেলার বাসিন্দারা।
সব সময় মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকছে হচ্ছে তাদের। এছাড়া দিন দিন কীর্তনখোলা নদীর ভাঙ্গন হয়েই যাচ্ছে। কিন্তু ব্যাস্ততম এই বাসষ্টান্ড সংস্কারে উদ্যোগ নেই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান মনিরুর ইসলাম ছবির। তিনি চরকাউয়া বাস মালিক সিমিতির সভাপতি । অভিযোগ উঠেছে, শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে একাধীক চালক মালিক সমিতির সভাপতির কাছে অভিযোগ করলেও কোন কর্নপাত করেনি মনিরুল ইসলাম ছবি। তবে গাড়ি প্রতি প্রতিদিন ২০০ টাকা চাঁদা নিচ্ছে বলে একটি বিশ্বাস্ত সুত্র জানিয়েছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চালক ও শ্রমিক জানান, আমাদেও চাঁদার টাকা দিয়ে সংস্কার করলেই হতো। কিন্তু সংস্কার করা হচ্ছেনা, এমনকি চাঁদার টাকার হিসেব পর্যন্ত নেই। বিষয়টি নিয়ে আলাপকালে ক্ষীপ্ত হন মনিরুল ইসলাম ছবি। এমনকি সংবাদকর্মীদেও সামনেই উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টুকে নিয়ে অশালীন ভাষায় মন্তব্য করেন তিনি। যার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে এ প্রতিবেদকের কাছে। এলাকাবাসী জানিয়েছে, চরকাউয়া খেয়া ঘাট থেকে ৬ রুটে মিনিবাস চলাচল করে।
এছাড়াও রয়েছে ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল, রিক্সা, অটো, ভ্যান, সাইকেল। প্রতিদিন এখান থেকে ৫০ উপজেলার প্রায় তিন লক্ষ লোক যাতায়াত করে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ন এই বাসষ্টান্ড দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় বাসগুলো চলাচলে সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। খানা-খন্দ এখন বড় বড় গর্তে পরিনত হয়ে কাদা পানি সব সময় হাটু সমান থাকায় বাসে যাত্রীদের উঠা নামা করে।
তার সাথে রয়েছে নদী ভাঙ্গন। যানবাহন চালকরা কোনভাবে নিয়ন্ত্রন হারালে যাত্রী নিয়ে নদীতে পড়া বা অপর পাশের খাদে পড়ার ঝুঁকি ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। সাধারন যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন বাসষ্টান্ডে খাঁনা খন্দের কারনে যানবাহনে তো দূরের কথা হাটতেও কষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও চরম দুর্ভোগে বৃদ্ধ বয়সী মানুষ ,স্কুলের কলেজের শিক্ষার্থীসহ অসুস্থ রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিন।
Leave a Reply