বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার॥ উজিরপুর থানার গুঠিয়া ফারির এএসআই মনির ও বরিশাল মেট্রপলিটন কমিশনার অফিসের স্টোনো টাইপিষ্ট হুমায়ুন কবিরের সহায়তায় কৃষকের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। জমিদখলের নেপথ্যে কাজ করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজ্জাক বলে জানাগেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে জেলার উজিরপুর উপজেলার শঙ্করপুর গ্রামে। জানাযায়, ওই এলাকার মৃত কালু হাওলাদারের ছেলে কৃষক বজলুর রহমানের মায়ের নামে ক্রয়কত শঙ্করপুর মৌজার ১০৮ নং খতিয়ানের ৩৫৯ দাগের ভোগদখলীয় ৪ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করে পাকা ভবণ নির্মান করে একই এলাকার শওকত আলীর পুত্রদ্বয় ভূমিদস্যু দুই ভাই জাহাঙ্গীর ও নাসির হাওলাদারসহ সহোযোগীরা। অর্থ ও পুলিশি সহায়তায় রাতারাতি ওই জমিতে টিনসেট পাকা ইমারত তৈরি করে বসবাস শুরু করেছে ভূমি দস্যুরা বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তবোগীরা।
খোজ নিয়ে জানাযায়, গত তিনমাস পুলিশের কাছে ধর্না দিয়েও জমি ফেরত পাইনি বজলুর রহমান। ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করে বলেন, ৩ মাস আগে ওই জমি দখল নেওয়ার সময় গুঠিায়া পুলিশ ফারিতে অভিযোগ করলে এসআই রফিকুল ইসলাম কাগজ পত্র দেখে কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ১৪ই জুন ওই জমিতে পুনরায় ভবন নির্মান করতে যায় জাহাঙ্গীর ও নাসির। এসময় বাধা প্রদান করলে মিমাংশা করে দেওয়ার কথা বলে গুঠিয়া ফারির এএসআই মনির ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমানসহ ৩ জনকে ফারিতে ডেকে নিয়ে ৫ ঘন্টা বসিয়ে রাখে ও ৩০ হাজার টাকা আদায় করে বলে অভিযোগ করেন তারা। এএস আই মনির এখন পর্যন্ত এ ব্যপারে ভুমিকা নিচ্ছে না।
বরিশাল মেট্রপলিটন কমিশনার অফিসের স্টোনো টাইপিষ্ট হুমায়ুন কবির জাহাঙ্গীর ও নাসির হাওলাদার এর আত্মীয় হওয়া প্রভাব খাটিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভুক্ত ভোগী।এএসআই মনির আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট আখ্যা দিয়ে বলেন, এ ব্যপারে আমি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছিলাম। তবে অভিযোগকারিকে ফারিতে বসিয়ে রাখা বা টাকা আদায়ের ঘটনা ঘটেনি।ভুুক্তভোগী পরিবার উর্ধ্বতনদেও দৃষ্টি আকর্শন করে সঠিক বিচার দাবি করেছেন।
Leave a Reply