বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:১১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ নতুন বাজেট ঘোষণার পর থেকেই বরিশালে উর্ধমুখী রড ও সিমেন্টের খুচরা বাজার। কোম্পানি ও মানভেদে এখন খুচরা পর্যায়ে প্রতিটন রড আগের চেয়ে দেড় থেকে তিন হাজার টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। পুরনো মূল্যের সিমেন্টগুলো খুচরা বাজারে প্রতিবস্তা ১৫ থেকে ৪০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এ দাম আরও বৃদ্ধি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
তাদের দাবি, নতুন বাজেট আর করের হিসাব মেলাতে নির্মাণ সামগ্রী রড ও সিমেন্টের দামে পরিবর্তন এসেছে। বাজেট ঘোষণার পর থেকেই এ দুটি নির্মাণ সামগ্রীর খুচরা মূল্যে উর্ধমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুচরা পর্যায়ে কোম্পানি ও মানভেদে প্রতিটন রড বিক্রি হচ্ছে আগের চেয়ে দেড় থেকে তিন হাজার টাকা বেশি দামে। পর্যায়ক্রমে পণ্যটির দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
সূত্রমতে, কোম্পানিগুলো এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সিমেন্টের দাম না বাড়ালেও খুব শীঘ্রই বাড়ানো হবে বলেও খুচরা ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে অধিকাংশ স্থানে আগের চেয়ে বাড়তি দামে সিমেন্ট বিক্রি করা হচ্ছে। কোম্পানিভেদে পুরনো মূল্যের সিমেন্টগুলো প্রতিবস্তায় ১৫ থেকে ৪০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় সোমবার খুচরা বাজারে প্রতি টন ৬০ গ্রেড রডের দাম কোম্পানিভেদে ৬৪ হাজার থেকে ৭১ হাজার টাকা দামে খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা সিমেন্ট কোম্পানিভেদে বিক্রি করা হয়েছে ৩৯০ থেকে ৪৩০ টাকায়। খুচরা সিমেন্ট বিক্রেতারা জানিয়েছেন, সিমেন্ট উৎপাদকরা প্রতিবস্তা সিমেন্টে ৫০ টাকা দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের এমনটাই জানিয়েছেন বিক্রয় প্রতিনিধিরা। তাই আগামী সপ্তাহের মধ্যে সিমেন্টের দাম আরও বাড়তে পারে।
ইস্পাত খাতের ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজেটে কাঁচামাল ও উৎপাদন থেকে বিক্রয় পর্যায়ে ভ্যাট ও অগ্রিম আয়কর এবং পরে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করায় রডের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎপাদন খরচ সমন্বয় করার জন্য রডের দাম আরও বাড়তে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক খুচরা বিক্রেতারা জানান, একবারে দাম বৃদ্ধি করলে ভোক্তারা বড় ধরনের ধাক্কা খাবেন, তাই দাম বাড়ানো হবে কয়েক ধাপে।
সোমবার সকালে নগরীর একাধিক রডের খুচরা দোকান ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকানেই রডের মজুদ তুলনামূলক কম। হাতে গোনা দু-চারটি ছাড়া অধিকাংশ দোকান ক্রেতাশূন্য। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চাহিদা অনুযায়ী মিল মালিকরা রড দিচ্ছেন না। দক্ষিণাঞ্চলের বৃহৎ রড ও সিমেন্ট বিক্রেতা এলাহী ট্রের্ডাসের সত্বাধিকারী নুরুজ্জামান ফরহাদ মুন্সী বলেন, ‘রডের দাম বেড়ে গেছে। কারখানা থেকে চাহিদা অনুযায়ী রড পাচ্ছিনা। তাই বেচাবিক্রিও কমে গেছে।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএসআরএম রডের এক বিক্রয় প্রতিনিধি প্রতিষ্ঠানের উর্ধতন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলেন, উৎপাদন ব্যয় সমন্বয় করতে রডের দাম আরও বাড়ানো হবে।
Leave a Reply