বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে বানচাল করতে আত্মঘাতী কার্যকলাপ করে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন ও ধ্বংস করার সক্রিয় ষড়যন্ত্র এবং দাওয়াত কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় এজাহারনামীয় জামায়েত ইসলামী বাংলাদেশের আমির ও সাবেক আমিরসহ ৯ নেতা কর্মীকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট জমা দিয়েছে পুলিশ।
এছাড়া এজাহারনামীয় প্রধান আসামী বরিশাল জেলা শাখার সাবেক আমির ও বরিশাল মডেল মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক আবুল হাসানাত মুঃ নুরুল্লাহ ও মাদ্রাসার ৪ জন আবাসিক শিক্ষিকাকে মামলার দায় থেকে অব্যহতি চাওয়া হয়েছে। সম্প্রতি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান এ চার্জশীট জমা দেন। তদন্তকালিন সময় সাবেক আমির আবুল হাসানাত মুঃ নুরুল্লাহের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হলেও তার মৃত্যু হওয়ায় সেসহ আবাসিক ৪ শিক্ষিকা আমিনা, তানিয়া আক্তার নাফিজা, মুসান্নায় জাহান সামসুন্নাহার, মারুফা আক্তারের অব্যহতি চাওয়া হয়েছে।
এজাহারনামীয় অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন ঢাকা নিউ এ্যালিফেন্ট রোড মসজিদ মিশন এনজিও এর সেক্রেটারী ও একই এলাকার আব্দুল জব্বার তরফদারের ছেলে খলিলুর রহমান তরফদার, ভোলা জেলা শাখার সাবেক আমির ও উকিলপাড়ার মৃত আঃ মান্নানের ছেলে ফজলুল করিম, ঝালকাঠি জেলা শাখার আমির এ্যাড হাফিজুর রহমান, পটুয়াখালী জেলা শাখার সাবেক আমির ফকরুদ্দিন খান রাযী, পিরোজপুর ভান্ডারিয়া উপজেলা শাখার আমির মাওলানা আব্দুল গনি, বরিশাল গৌরনদী উপজেলা শাখার সাবেক আমির ও উত্তর বিজয়পুরের মৃত হাজী আঃ মজিদ খানের ছেলে মাওলানা কামরুল ইসলাম খান,
ঝালকাঠি পৌরসভা শাখার আমির ও কৃষ্ণকাঠির মৃত মাষ্টার আঃ লতিফের ছেলে মাওলানা আব্দুল হাই, বরিশাল বাবুগঞ্জ মাধবপাশা এলাকার মৃত মমিন উদ্দিনের ছেলে জামায়েত কর্মী কেরামত আলী, ঝালকাঠি দক্ষিন মানপাশা বিনয়কাঠি এলাকার মৃত আঃ মান্নান হাওলাদারের ছেলে জামায়েত কর্মী মাহাবুব আলম।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর জামায়েত ইসলামী বাংলাদেশের নেতা কর্মীরা আত্মঘাতী কার্যকলাপ করে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন ও ধ্বংস করার সক্রিয় ষড়যন্ত্র এবং দাওয়াত কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে গোপন বৈঠক করছেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আরাফাত রহমান হাসান তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নবগ্রাম রোড সিকদার প্যালেসের বরিশাল মডেল মহিলা মাদ্রাসায় অভিযান চালায়।
এসময় ওই বৈঠকে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা জামায়েত ইসলামীর ১০ নেতা কর্মীকে আটক করেন। অভিযান পরিচালনা করার সময় সেখান থেকে অজ্ঞাতনামা আরো ২০/৩০ জন নেতা কর্মী কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে বিভিন্ন প্রকার লিফলেট, বই, হ্যান্ড বিল, ডায়েরী, প্যাড এবং নেতা কর্মীদের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
এঘটনায় পরদিন কোতোয়ালি মডেল থানায় নামধারী ১৪ জন ও অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় জামায়েত ইসলামী বরিশাল জেলা শাখার সাবেক আমির ও বরিশাল মডেল মহিলা মাদ্রাসা পরিচালক আবুল হাসানাত মুঃ নুরুল্লাহের নেতৃত্বে ও পারস্পরিক সহযোগীতায় নেতা কর্মীরা ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে বানচাল করতে ও ২৮ অক্টোবর লগি বৈঠা দিবস উপলক্ষে সরকারি ভবন, গুরুৃত্বপূর্ণ স্থাপনা,
কেপিআই, যানবাহন, যন্ত্রপাতি, কলকব্জা, শিল্প প্রতিষ্ঠান, রেলপথ, রাজপথ, নৌযান, রাস্তা, খাল, সেতু, কালভার্ট, বাঁধ, বন্দর, ডকইয়ার্ড, বিমানবন্দর, সরকারি অফিস ও স্থাপনার ক্ষতিগ্রস্থ করার উদ্দেশ্যে কার্য ও ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আনা হয়।
Leave a Reply