মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের বুখাইনগরে নিজ ঘরে দলিল লেখক রেজাউল করিম রিয়াজ হত্যার কারণ জানা গেছে।আটক আসামীদের আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে হত্যার নেপথ্য কাজ করেছে পরকিয়া প্রেম বলে জানিয়েছেন নিহতের স্ত্রী লিজা আক্তার। ২০ এপ্রিল বরিশাল আদালতে এই জবানবন্দী দেন ঘাতক। তাকে সহায়তা করেছে দুই পরকিয়া প্রেমিক বলেও জানান। ঘটনার সাথে জড়িত অপর দুই আসামী পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এর মধ্যে একজন মাসুম। তিনি নিহত রেজাউল করিম রিয়াজের সহকারী এবং লিজা আক্তারের পরকিয়া প্রেমিক।
স্বামীকে হত্যার দায় স্বীকার ও আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান। জানা গেছে, রেজাউল করিম রিয়াজের দ্বিতীয় স্ত্রী লিজা বেগম। তারা এক সাথে থাকলেও দু’জনের মধ্যকার সম্পর্ক ভালো ছিলো না। তাছাড়া রেজাউল করিমের সহকারী মাসুমের সাথে লিজার পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যকার সম্পর্কের কথা জেনে যায় রিয়াজ। যা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতো।
ঘটনার আগের দিনও একই বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে লিজা আক্তার ও তার পরকিয়া প্রেমিক মাসুম। সেই ক্ষোভ থেকেই পরকিয়া প্রেমিক মাসুমকে নিয়ে রেজাউল করিম রিয়াজকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে স্বামী রিয়াজকে দুধের সাথে কৌশলে ঘুমের ওষুধ সেবন করানো হয়।
পরে পরকিয়া প্রেমিক সহ দু’জন এলে তাদের ঘরে প্রবেশ করতে দরজা খুলে দেয় লিজা। এর পর লিজা তার স্বামীর নাকে-মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। তখন লিজার পরকিয়া প্রেমিক মাসুম ও তার সহযোধী ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিয়াজকে জবাই করে হত্যা করে। ওই রাতেই মোটরসাইকেল যোগে তারা পালিয়ে যায়।
যা চরমোনাই পীরের দরবারের সিসি ক্যামেরায় পাওয়া গেছে। ওই সিসি ক্যামেরার সহযোগিতায় ঘাতকদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করার কারনে এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন এসআই মোস্তাফিজুর রহমান।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের বুখাইনগর বাজার সংলগ্নে নিজ বাসায় জবাই করে হত্যা করা হয় দলিল লেখক রেজাউল করিম রিয়াজকে। তিনি ওই এলাকার আব্দুস ছত্তার হাওলাদারের ছেলে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই মনিরুল ইসলাম লিপন বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে কোতয়ালী মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে এ বিষয়ে ২১ এপ্রিল বেলা ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তুলে ধরবেন পুলিশ বলে ই-মেইল বার্তায় জানিয়েছে।
Leave a Reply