সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন
স্বরূপকাঠী প্রতিনিধিঃনেছারাবাদ (স্বরূপকাঠীতে) মধ্য নান্দুহার গ্রামের ২ কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তা নির্মানে পঁচা ইট ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে আজ নির্মানাধীন রাস্তায় গেলে কাজ করা শ্রমীকরা জানায়, পঁচা ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে এবং স্বরূপকাঠি এলজিইডি’র সাইড ভিজিড করা সাব-ইঞ্জিনিয়র তাদের এ ইট ব্যবহারের জন্য বলেছেন।
এসময় কবিরাজ বাড়ির হাকিম কবিরাজ নামের এক ব্যক্তি ইটের বড় কয়েকটি টুকরো হাতে নিয়ে এক হাতেই তা ভেঙ্গে গুড়ো করে দেখিয়ে বলেন, এর থেকে পোড়া মাটিও শক্ত হয়।
নাম না প্রকাশ সত্যে এক শ্রমিক জানায়, এর থেকে নিম্নমানের ইট আর নেই, এগুলো পঁচা ইট। স্থাণীয় কহিনুর বেগম জানায় ৮ মাস আগে সে এই ইট ভেঙ্গেছে যার মজুরী আজও তারা পায় নি, ইটগুলো পঁচা।
স্থাণীয়দের অভিযোগ এই রাস্তায় পঁচা ইট ব্যবহার করে সেগুলো আড়াল করার জন্য উপড়ে ভাল ইটের খোয়া(ভাঙ্গা ইট) দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে।দীর্ঘ দিনের প্রতিক্ষার পর এরাস্তাটি করা হচ্ছে তাই এধরণের বাজে নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে ফেলে ভাল নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে।
স্বরূপকাঠি এলজিইডি’র প্রকৌশলী কবির মিয়ার সংগে দেখা করে এবিষয়ে তথ্য ও তার মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি কোন তথ্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। তবে রাস্তায় পঁচা ইট ব্যবহার হচ্ছে, ঠিকাদারকে বিল ছাড়া হবে না ইত্যাদি বলে এক্সইয়েন পিরোজপুরের অনুমতি ছাড়া স্বাক্ষাৎকার দেয়া যাবেনা বলেন।
এবিষয়ে এক্সইয়েন, এলজিইডি, পিরোজপুরের ০১৭১…..০০ নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বরূপকাঠি বরাবরে গত ডিসেম্বরে এলাকাবাসি এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিলেও ইউএনও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যস্ততা ও নির্বাচন পরবর্তি ট্রেনিং এ থাকায় ঠিকাদার বীরদর্পে একাজ করে চলছেন।
এদিকে সুটিয়াঠি ইউপি চেয়ারম্যান গাউছ মিয়া তালুকদার এ বিএনপি নেতার কাজের ব্যপারে কোন মন্তব্য করতে নারাজি প্রকাশ করেছেন। বিএনপি নেতা ও বলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ জেলে থাকায় ঠিকাদারী কাজটির দেখভাল করছেন তার ভাই মিজানুর রহমান।
রাস্তায় পঁচা ইট ব্যবহারের একটি ভিডিও দেখে তিনি বলেন, অচিরেই এসব নিন্মমানের মালামাল অপসরন করে ভালো মানের মালামাল ব্যবহার করা হবে, শ্রমিকদের মজুরী অনেক আগেই আমরা পরিশোধ করেছি, তাই শ্রমিকরা আমাদের কাছে টাকা পাবেনা।
তিনি এসময় উপজেলা এলজিইডির বিভিন্ন কাজের সমালোচনা করেন, তার অভিযোগ প্রকৌশলী তাদের কাজে সহায়তা করেন না, সাইড ভিজিটের নামে লাঞ্চ ফিসহ হাজিরা প্রতি এক হাজার করে টাকা দিতে হয়, তার পরেও বিল করার সময় তাদের নাটকীয়তার শেষ থাকেন।
Leave a Reply