শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:নগরীর ৩০ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থীত কাউন্সিলর প্রার্থী কালাম মোল্লা’র বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বি সাবেক কাউন্সিলর ও তার কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় তারা ভাংচুর করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়। এতে ঘুড়ি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়াজ মাহমুদ বেগ সহ কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছে।
বুধবার (২৫ জুলাই) পৌনে ১০টার দিকে ওয়ার্ডের অধিনস্ত কলাডেমা এলাকায় এই হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।হামলার শিকার কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়াম মাহমুদ বেগ জানান, ৩০নং ওয়ার্ডের কলাডেমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্নে তার নির্বাচনী কার্যালয় রয়েছে।
সারাদিন নির্বাচনী গণসংযোগ শেষে রাতে ওই কার্যালয়ে কর্মীদের নিয়ে আলোচনা করছিলেন। ঠিক সেই মুহুর্তে প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থীত “ঠেলাগাড়ি” প্রতীকের প্রার্থী কালাম মোল্লা ও তার ভাই ইউপি চেয়ারম্যান লিটন মোল্লা মোটর সাইকেলের বহর নিয়ে ওই স্থানে আসে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই নির্বাচনী কার্যালয়ে লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত ভাবে হামলা ও ভাংচুর করে।
এতে ঘুড়ি প্রতীকের কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছে বলে দাবী করেন নিয়াজ মাহমুদ বেগ।
তিনি বলেন, লিটন ও কালাম মোল্লার হামলার শিকার হয়ে আমি পার্শ্ববর্তী তোতা মিয়া নামক ব্যক্তির ঘরে আশ্রয় নেই। সেখানে কালাম মোল্লা ও লিটন মোল্লা তাদের অর্ধশতাধিক লোক নিয়ে আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এসে আমাকে উদ্ধার করে। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা সবাই পালিয়ে যায়।
জানতে চাইলে এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, হামলা ও ভাংচুরের খবর পেয়ে আমার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। হামলার শিকার কাউন্সিলর প্রার্থী থানায় অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Leave a Reply