সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় গ্রেপ্তার মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল খায়ের বেলালী আট ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। গত ১ বছরে তিনি ঘটিয়েছেন এসব ঘটনা। শুক্রবার ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে কেন্দুয়া পৌর শহরের বাদে আঠারবাড়ি এলাকায় ‘মা হাওয়া (আ.) কওমী মহিলা মাদ্রাসা’ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, গত এক বছর ধরে এই মাদ্রাসায় আছেন আবুল খায়ের। মাদ্রাসাটিতে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৩৫ জন ছাত্রী রয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জন মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রী। শিক্ষক আবুল খায়ের বেলালীও থাকেন মাদ্রাসার আবাসিকে। এই এক বছরে আবুল খায়ের বেলালী মাদ্রাসার আট ছাত্রীকে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন করার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন।
প্রথমে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেছিল ওই মাদ্রাসার এক ছাত্রীর পরিবার। পরে পুলিশ ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ধর্ষণের কথা জানায়। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় বেলালীকে।গ্রেপ্তার মাওলানা আবুল খায়ের বেলালী ওই মাদ্রাসার মোহতামিম (পরিচালক) এবং সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের সোণাকানী গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে। শনিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বেলালীর যৌন নির্যাতনের বিবরণ দিতে গিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, সময় সুযোগ বুঝে নিজের কক্ষে পছন্দমতো কোনো ছাত্রীকে ডেকে নিতেন। পরে তার হাত-পা টিপে দিতে বলতেন। এক পর্যায়ে ওই শিশুকে ধর্ষণ করতেন এবং কাউকে কিছু না বলতে শপথ করাতেন, ভয় দেখাতেন।তিনি বলেন, বয়ানে সুবক্তা এই মাওলানা বেলালীর শিকার শিশুদের বয়স ৮ থেকে ১১ বছরের মধ্যে। ইতোমধ্যে দুই ছাত্রীর পরিবার তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মেডিকেল পরীক্ষার জন্য দুই ছাত্রীকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply