রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানির পর কেরসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী প্রদান করেছে মামলার এজহারভূক্তীয় প্রধান আসামী মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছে।রোববার (২৮ এপ্রিল) ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালতে এ স্বীকারোক্তি প্রদান করে।রাত সাড়ে আটটায় পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর স্পেশাল পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন এ বিষয়য়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
এসময তিনি বলেন, অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার সাথে কারাগারে শাহাদাত হোসেন শামীম ও নুর উদ্দিন দেখা করতে এলে তিনি নুসরাতককে মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করতে বলে, চাপ প্রয়োগে কাজ না হলে পুড়িয়ে মেরে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়। তিনি আরও বলেন, অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা জেলের ভেতরের প্রান্ত থেকে এ প্রান্তে থাকা শামীম ও নুর উদ্দিনকে এ নির্দেশ দেয়।এর আগে বিকেল সাড়ে ৩ টায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ২৭ মার্চ নুসরাতের যৌন হয়রানীর মামলা দায়েরের পর ওই মামলা তুলে নিতে বার বার চাপ দেয়া হয়। নুসরাত ও তার পরিবার মামলা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানালে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা কারাগারে থাকাবস্থায় নুসরাত হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত অন্যতম আসামী নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীমকে নুসরাতকে হত্যার নির্দেশ দেন ও তা আত্মহত্যা বলে প্রচারের পরামর্শও দেন।
উল্লেখ্য, নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানীর মামলায় ২৭ মার্চ সিরাজ উদদৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল মাদ্রাসার ছাদে কেরসিন ঢেলে পুড়িয়ে দেয়া হয় নুসরাতকে। ৮ এপ্রিল নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের দায়ের করা মামলার ১ নম্বর আসামী করা হয় সিরাজ উদ দৌলাকে। ১০ এপ্রিল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিনের আদালত তাকে ৭ দিনের রিমান্ড দেয়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত এজহারের ৮ জনসহ মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৯ জন ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
Leave a Reply