বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:২১ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তির সৎকারে বাধা দেয়ায় বিষয়টি নিয়ে নগর জুড়ে সমলোচনার সৃষ্টি হয় এতে বিপাকে পরে যায় মহাশ্মশান কমিটির সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকার। কমিটির সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকার শ্মশানের বাইরে মৃতদেহ ও তার স্বজনদের বের করে দেন।
এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন মহাশ্মশান কমিটির সদস্যরা। এদিকে মহাশ্মশান কমিটির মাঝে হট্টগোল দেখা দিলে দ্রুত মৃত ব্যক্তির সৎকারের অনুমতি দেয় নরসুন্দর কল্যাণ ইউনিয়নের সভাপতি নির্মল চন্দ ও মহাশ্মশান কমিটির সদস্যরা ।
শনিবার রাত ৯টার দিকে বরিশাল মহাশ্মশানে সৎকারকাজ শুরু করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল নরসুন্দর কল্যাণ ইউনিয়নের সভাপতি নির্মল চন্দ্র। তিনি জানান, বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্টজনিত কারণে নিতাই চন্দ্র শীলের (৫৪) মৃত্যুর পর ধর্মীয় নীতি সেরে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বরিশাল মহাশ্মশানে সৎকারের জন্য নেয়া হলে তাতে বাধা দেয়া হয়। পরে ।
পরে সাংবাদিকরা এলে চাপে পড়ে পেছনের গেট থেকে মৃতদেহ নিয়ে সৎকারকাজ রাত ৯টার দিকে শুরু করা হয়। এদিকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মৃত নিতাই চন্দ্র শীলের ছেলে নিখিল শীল বরিশাল মহাশ্মশানে মরদেহ সৎকারে বাধার অভিযোগ করেছেন শ্মশান কমিটির সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকারের বিরুদ্ধে।
তিনি আরও জানান, শনিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। বৃষ্টির মধ্যে শ্মশান থেকে মরদেহটি তাদের স্বজনসহ বাইরে বের করে দেন তমাল মালাকার ও তার অনুসারীরা।
এমনকি তাদের গালাগালও করা হয়। জানা যায়, নগরীর চাঁদমারী খেয়াঘাট এলাকায় নিখিল হেয়ার ড্রেসারের মালিক নিতাই চন্দ্র শীল (৫৪) বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে শনিবার সকালে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়।
পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হলে ধর্মীয় রীতি শেষে সৎকার সম্পন্ন করতে বরিশাল মহাশ্মশানে নেয়া হয় বিকাল ৩টার দিকে।
তবে নানা অজুহাতে শ্মশান থেকে মৃতদেহসহ তাদের স্বজনদের সেখান থেকে বের করে দেয়া হয়। প্রথমে বলা হয় বরিশাল নগরীর ভোটারদের বাইরে কাউকে দাহ করা হবে না। পরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন জানিয়ে দুর্ব্যবহার করেন তমাল মালাকার।
বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত বৃষ্টির মধ্যে মৃতদেহসহ স্বজনদের শ্মশানের বাইরে অমানবিকভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এমনটিই অভিযোগ করেন মৃতের স্বজনরা।
পরে পরিবারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। জেলা প্রশাসক এসএম অজেয়র রহমান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরই তিনি স্থানীয় হিন্দু নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলেন।
সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালে স্থানীয় পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা কথা বলেন শ্মশান রক্ষা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে।পরে রাতে মরদেহ শ্মশানের ভেতরে প্রবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়।
Leave a Reply