শেবাচিম হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা Latest Update News of Bangladesh

বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২২ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




শেবাচিম হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

শেবাচিম হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা




স্টাফ রিপোর্টার:বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইসরাত (৩) নামের এক কন্যা শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় অপচিকিৎসা ও কর্তব্য অবহেলার অভিযোগ এনে ১৩ জনের বিরুদ্ধে বরিশাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে বরিশাল অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মৃত শিশু কন্যার পিতা উজিরপুর উপজেলার পূর্ব ধামুরা এলাকার বাসিন্দা আল আমিন জমাদার।

মামলাটি বিচারক মারুফ আহম্মেদ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। মামলার বিবাদীরা হল, বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান ডা: অসীম কুমার সাহা, হাসপাতালের রেজিষ্ট্রার, সহকারি রেজিষ্ট্রার, শিশু বিভাগের ডায়েরিয়া ইউনিট ২ এ ওই সময়ে দায়িত্বরত ইন্টার্নী চিকিৎসক, শিশু বিভাগের ডায়েরিয়া ইউনিটের সেবিকা সিপু, শেবাচিম হাসাপাতালের শিশু বিভাগের ইউনিট ৩ এর রেজিষ্ট্রার ও সহকারি রেজিষ্ট্রার। এছাড়া আরো ৬ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে বিবাদী উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৩ আগস্ট সকাল ৭টার দিকে হঠাৎ করে শারীরিকভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে শিশু কন্যা ইসরাত। এসময় তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে শিশু বিভাগের ডায়েরিয়া ইউনিট ২ এ প্রেরণ করে। ওই ইউনিটে দায়িত্বরত অজ্ঞাতনামা ইন্টার্নী চিকিৎসক বাদী আল আমিন জমাদারকে স্লিপ লেখে দেয় স্যালাইন ও ওষুধ আনার জন্য। কিন্তু ওই স্লিপ ৫নং আসামী সেবিকা সিপু বাদীর কাছ থেকে নিয়ে যায় এবং ইন্টার্নী চিকিৎসকের দেয়া ওষুধ বাদ দিয়ে নতুন ওষুধ লেখা সংবলিত অপর একটি স্লিপ দিয়ে সেগুলো আনতে বলে। ৫নং আসামী সেবিকা সিপু’র দেয়া ওষুধ শিশু ইসরাতের শরীরে প্রয়োগ করা হলে শিশু ইসরাত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।

পরে ইসরাতের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ডায়েরিয়া ইউনিট ৩ এ প্রেরণ করা হয়। ওই ইউনিটের চিকিৎসক রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়া সত্বেও কোনো চিকিৎসা প্রদান করেননি। আসামীদের ভুল চিকিৎসা ও কর্তব্য অবহেলার কারণে শিশু ইসরাতের ২৫ আগস্ট রাত ২টা ২০ এর সময় মৃত্যু হয়। এসময় বাদী আল আমিন জমাদার ভুল চিকিৎসা ও অবহেলার কারণ জানতে চাইলে আসামীরা বাদীকে ভয়ভীতি মৃত কন্যা শিশুসহ তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলে। এরপর সোমবার এই অভিযোগগুলো এনে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন আল আমিন জমাদার।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD