রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৩৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রিপুর ইউনিয়নের লড়াইপুর চরে নিজাম সিকদার নামে এক ব্যক্তি বশতঘর পুড়িয়ে দিয়েছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। চর দখলে ব্যর্থ হয়ে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে ।
ক্ষতিগ্রস্থ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লড়াইপুর চরে একটি গুচ্ছ গ্রাম রয়েছে। যেখানে বসবাস কয়েকশ পরিবারের। তারা চরের পতিত জমি ও চরের মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া খালকে ব্যবহার করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। কিন্তু সেই উপার্জনে বাঁধা হয়ে দ্বারায় শ্রিপুর ইউনিয়নের চিহ্নিত সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামী রুবেল কাজী ও তার সহযোগীরা। তারা বিভিন্ন সময় ট্রলারযোগে এসে চরে বসবাসকারী জেলে ও কৃষকদের মাছ, জাল, নৌকা ও কৃষি উপকরন লুট করে নিয়ে যায়। এর প্রতিবাদ করলে চরের বসিন্দাদের মারধরও করেছে রুবেল বাহিনী। এসব ঘটনায় বিভন্ন সময় একাধীক মামলা হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠে এই বাহিনী।
এক পর্যায় গ্রামের বাসিন্দাই তাদের প্রতিহত করে। গত কয়েকদিন আগে রুবেল ও তার এক সহযোগী হাসানকে লাহারহাট এলাকায় পেয়ে মেট্রোপলিটন বন্দর থানা পুলিশে হস্তান্তর করে ভুক্তভোগীরা। কিন্তু রুবেলের বিরুদ্ধে সকল মামলা মেহেন্দিগঞ্জ থানায় হওয়ায় তাকে শেষ পর্যন্ত আটকে রাখতে পারেননি বন্দর থানা পুলিশ। ছাড়া পেয়েই প্রতিশোধ নিতে মঙ্গলবার রাতে লড়াইপুর চরে ক্ষতিগ্রস্থ নিজাম সিকদারের বশত ঘরে রুবেল ও তার বাহিনী আগুন দেয় বলে দাবী করেন নিজাম। তিনি আরো জানান, ওইদিন তিনি তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিকাল বেলা লাহারহাটে ডাক্তার দেখানোর উদ্যেশ্যে যান। সন্ধ্যার পর বাড়ি ফিরে দেখেন বশতঘরটি আগুনে জ্বলছে। কাছাকাছি গেলে দেখেন সেখানে রুবেল কাজী ও তার সহযোগী হাসান, কবির জহুরসহ ২০/২৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দাড়িয়ে আছে।
তাদের দেখা মাত্র সন্ত্রাসীরা ধাওয়া করে। আগুনে তার নগদ প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা ও স্বর্নলংকার পুড়ে গেছে বলে জানান। সেইসাথে সন্ত্রাসীরা তার ৭ টি ছাগল নিয়ে গেছে বলেও জানান নিজাম। চরের বাসিন্দা কালাম ও মুনসুর এ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চরের জমি ভোগ দখল করার জন্য ভীতি তৈরী করার উদ্যেশ্যেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
Leave a Reply